ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে, খরচ কত হবে? (এ টু জেড)

ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে

আপনি যদি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে যান, অথচ ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে তা না জানেন, তাহলে খুব শীঘ্রই আপনার সামনের আলো কমে গিয়ে অন্ধকার দেখা শুরু করতে পারেন।

যেকোনো জিনিস ক্রয় করার আগে বাজেট বড় ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে। অন্যদিকে নতুন কিছু শুরু করতে যাওয়ার আগে কিছু ব্যাসিক ধারনা রাখার বিকল্প নেই।

একটি ওয়েবসাইট কিংবা ব্লগ সাইট তৈরি করার জন্য অনেক জিনিসই লাগতে পারে, তবে সবকিছু সবার জন্য লাগবে এমনটা নিশ্চয়ই নয়।

তাই ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে, ওয়েবসাইট তৈরি করতে কত টাকা খরচ হয় তা জানার আগে আমাদের ওয়েবসাইট, ব্লগ এবং সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়েও জানা দরকার।

চিন্তার কোনো কারণ নেই, এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে সাধারণত কি কি লাগে এবং কত টাকা খরচ হতে পারে সেসব বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ্‌।

ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে | What are required to start a Website

ওয়েবাসইট তৈরি করতে সাধারণত যা যা লাগে:

  • ওয়েবসাইট/ব্লগ এর নাম
  • ডোমেইন
  • হোস্টিং
  • কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম/ওয়েব ডেভেলপার
  • থিম + প্লাগইন (অপশনাল)
  • কন্টেন্ট রাইটার

একটি ওয়েবসাইট অনলাইনে নিয়ে আসার জন্য এই কয়টি জিনিস যথেষ্ট। খুব সাধারণভাবে একটি ব্লগ সাইট খোলার জন্য একটি জিমেইল আইডি হলেও হবে। সেই সাথে ডিফল্ট থিম ব্যবহার করতে পারবেন, ফ্রি টেমপ্লেট ইন্সটল করার সুযোগ তো থাকছেই।

সংক্ষেপে না বুঝে চলুন উপরে উল্লেখ করা ওয়েবসাইট তৈরিতে প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক!

১. ওয়েবসাইট বা ব্লগ নাম | Website Name

আমাদের সকলের নাম আলাদা থাকে, যেন আমরা একে অপরকে পরিচয় দিতে পারি। একটি ওয়েবসাইটকে ভিজিটরদের সাথে পরিচয় করানোর জন্যও একটি নাম দরকার হয়। নামটি সাইট রিলেটেড হলে ভালো হয়।

উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, যদি কোনো ব্যক্তির নাম মোহাম্মাদ দিয়ে শুরু হয় তাহলে আমরা সহজেই বুঝতে পারি তিনি মুসলিম। অন্যদিকে, যদি কারো নামের সাথে মোহাম্মদ নেই, আবার ডাক নাম রেখেছে শুভ্র, রয়েল বা টাইগার! তাহলে নিশ্চয়ই আমরা তার ধর্ম পরিচয় নিয়ে নিশ্চিত হতে পারি না, যতক্ষণ না তিনি বলছেন।

ঠিক একভাবে, গুগল কিংবা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনে আপনার সাইটের নামটাই শুধু আসবে, ধর্ম পরিচয় অর্থাৎ সাইটটি কি নিয়ে কাজ করে তা আসবে না। সুতরাং, ভিজিটর হারাতে না চাইলে সাইটের নাম এমনভাবে ঠিক করতে হবে যেন ধর্ম পরিচয় অর্থাৎ ওয়েবসাইট ধরণ বা কাজ সম্পর্কে ধারণা দিতে পারে।

২. ডোমেইন | Domain Name

আমাদের আশে পাশে অনেকের নাম ই মিলে যায়, তাই বলে কি আমরা এক? নিশ্চয়ই নই! এক্ষেত্রে আমাদের পৃথক করার জন্য বাবা-মা’র নাম ব্যবহার করা হয়।

আরো পড়ুন:  ফ্রি অনলাইন জার্নাল ( Online Journal ) ও রিসার্চ ডাটাবেজ ওয়েবসাইট

এখন আমার নাম বলে এলাকায় জিজ্ঞেস করলে হয়তো বলবে কোন আব্দুল্লাহ? তাহলে কি করলে আমার ঠিকানা পাবেন? আমার বাবা কিংবা মায়ের নাম অথবা বাড়ি নং যুক্ত করে জিজ্ঞেস করতে হবে।

আপনার সাইটের নামকেও এমন ইউনিক করার জন্য একটা এড্রেস দরকার। এই এড্রেসকে বলা হয় আইপি এড্রেস (IP বা Internet Protocol  Address)। একটি আইপি এড্রেস ফরম্যাট দেখতে 161.149. 146.201 এরককম।

এখন এটা কি মনে রাখা সম্ভব? বিশেষ করে যদি অনেকগুলো মনে রাখতে হয়?

এই কাজকে সহজ করতে আইপি এড্রেসকে ডোমেইন নাম দিয়ে দেখানো হয়। অর্থাৎ, এড্রেস একই থাকলো কিন্তু ডাকনাম অন্য কিছু রাখলাম। যেমন: google.com, facebook.com ইত্যাদি।

বিভিন্ন রকম ডোমেইন এক্সটেনশন রয়েছে, যেমন: .com, .net, .info, .top, .xyz, .co, .gov ইত্যাদি।

ডোমেইন এক্সটেনশন লিস্টএখন প্রশ্ন হলো কোন ডোমেইন এক্সটেনশন কোথায় ব্যবহার করা হয়?

.COM মানে হলো commercial! অর্থাৎ যদি কোনো ওয়েবসাইটে বিজনেস ভিত্তিক কাজ করা হয়, অর্থাৎ সাইট থেকে ইনকাম করার উদ্দেশ্য রয়েছে, তখন ভিজিটরকে বুঝানোর জন্য .com এক্সটেনশন ব্যবহার করা হয়। যেমন: Alibaba.com

.ORG – organization: কোনো সংগঠনের কাজের জন্য যদি ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়, তখন .org এক্সটেনশন ব্যবহার করতে হয়।

.NET – network: কোনো নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর জন্য উদ্দেশ্য করে তৈরি সাইটের জন্য পারফেক্ট ডোমেইন এক্সেটেনশন।

.EDU – education: পড়ালেখা বিষয়ক ওয়েবসাইট।

.GOV – government: সরকারী ওয়েবসাইট

.xyz – Miscellaneous: আপনার ওয়েবসাইটটি যদি কোনো ক্যাটেগরিতেই না ফেলাতে পারেন, তখন এই কমন এক্সটেনশন নিতে পারেন।

ব্লগের জন্য কোন ডোমেইন এক্সটেনশন ভালো?

একজন ভিজিটর ব্লগে প্রবেশ করার আগে গুগলেই সাইটের এক্সটেনশন দেখে ফেলেন। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, টপ লেভেল ডোমেইন গুলোর মাঝে যেসব ওয়েবসাইটের .কম, .ইনফো এবং .নেট এক্সটেনশন রয়েছে, তারা তুলনামূলক বেশি ক্লিক পাচ্ছেন। অর্থাৎ, পাশাপাশি র‌্যাঙ্ক করেও .xyz বা .site, .me এমন এক্সটেনশন যুক্ত ব্লগগুলো ভিজিটর কম পাচ্ছেন।

এর পিছনে মূলত সাইকোলজিক্যাল বিষয় রয়েছে। ভিজিটররা জনপ্রিয় ডোমেইন যুক্ত সাইটগুলোকে দ্রুত বিশ্বাস করতে পারে এবং অথেনটিক মনে করে।

তাই, যেহেতু, ব্লগাররা এখন ব্লগ থেকে টাকা আয় করার উদ্দেশ্য নিয়েই ব্লগ খুলেন, সেক্ষেত্রে আপনার জন্য .কম ডোমেইন বেস্ট চয়েস হবে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে হয়তো .কম পাবেননা, সেক্ষেত্রে .ইনফো এক্সটেনশন নিতে পারেন।

টপ লেভেল ডোমেইন নেওয়া কি আবশ্যক?

আপনি যদি ওয়েবসাইট না খুলে ব্লগ খুলতে চান, সেক্ষেত্রে ব্লগার একাউন্ট এ কোনো রকম টপ লেভেল ডোমেইন ছাড়াই ফ্রি সাবডোমেইন নিয়ে কাজ করতে পারবেন। কিন্তু, আমি এটা কখনোই রিকমেন্ড করি না।

আমি পূর্বের এক পোস্টে টপ লেভেল ডোমেইন কেন নেওয়া প্রয়োজন, নিলে কি লাভ, আর না নিলে কি ক্ষতি সেসম্পর্কে তুলনামূলক আলোচনা করেছিলাম। আশা করি, পোস্টটি আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে।

৩. হোস্টিং | Hosting Server

ওয়েব হোস্টিংপ্রতিটি ওয়েবসাইটেই কিছু ফিক্সড জিনিস থাকে, যেমন থিম, প্লাগইন, ছবি, কন্টেন্ট, ইত্যাদি। এগুলো রাখার জন্য অবশ্যই স্টোরেজ দরকার। হোস্টিং হলো এমন একটি স্পেস, যেখানে আপনার সাইটের সমস্ত তথ্য জমা থাকে, এবং একজন ভিজিটর ইন্টারনেট ব্যবহার করে সেগুলো একসেস করতে পারে।

এখন আপনি যদি ফ্রি ব্লগস্পট একাউন্ট করে ব্লগ তৈরি করেন, তাহলে আপনার হোস্টিং প্রয়োজন হচ্ছে না। কারণ গুগল বাই ডিফল্ট আপনাকে ১৫ জিবি হোস্টিং স্পেস অফার করছে।

আরো পড়ুন:  ওয়েবসাইট কি, ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় করার উপায়

কিন্তু, আপনি যদি হাই কোয়ালিটি ওয়েবসাইট, কিংবা ব্লগ তৈরি করতে চান, সেক্ষেত্রে আপনার কোডিং করে ওয়েবসাইট ডেভেলপ করতে হবে। আবার আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট কিংবা ব্লগ তৈরি করতে চান সেক্ষেত্রেও হোস্টিং প্রয়োজন।

৪. কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম/ওয়েব ডেভেলপার

পূর্বে আমরা এবিষয়ে কিছুটা ইতিমধ্যে জেনে ফেলেছি। আপনি আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইট বিভিন্ন উপায়ে তৈরি করতে পারেন।

ওয়েবসাইট তৈরির প্রধান দুইটি উপায় হলো-

  1. নিজস্ব কোডিং করে ওয়েব ডেভেলপ করা
  2. সিএমএস বা কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম

CMS – Content Management System:

বর্তমানে অনেকগুলো মিডিয়া সিএমএস অফার করছে। এখানে ওয়েবসাইট তৈরি করার সুবিধা হলো আপনার নিজস্ব কোডিং দক্ষতার প্রয়োজন নেই। সবকিছু মোটামুটি তৈরি করাই থাকে, আপনাকে শুধু পছন্দমতো বেছে বেছে সাজিয়ে নিতে হবে। জনপ্রিয় দুইটি Content Management System হলো

  • blogger.com ও
  • wordpress.org

যদি আপনি ব্লগস্পট বা ব্লগার সিএমএস বাছাই করেন, তবে আপনার প্রয়োজন একটি থিম। অন্যদিকে, ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করার জন্য একটি থিম এবং ১০ থেকে ১২টি প্লাগইন।

যদি সিএমএস ব্যবহার করতে না চান, তবে কোডিং করতে হবে। নিজে কোডিং করতে না জানলে একজন ওয়েব ডেভেলপারকে হায়ার করার প্রয়োজন পরবে।

৫. কন্টেন্ট রাইটার | Content Writer

কন্টেন্ট রাইটারএকটি ওয়েবসাইট এর যাবতীয় তথ্য ও কার্যাবলী সম্পর্কে জানানোর জন্য মিনিমাম সংখ্যক আর্টিকেল ও পেজ প্রকাশ করার দরকার হয়। যদি আপনি নিজে লিখতে না পারেন, বিশেষ করে এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার অভিজ্ঞতা বা এসইও সম্পর্কে জ্ঞান না থাকলে র‌্যাঙ্ক করার জন্য অবশ্যই কন্টেন্ট রাইটার হায়ার করতে হবে।

অন্যদিকে, ব্লগসাইট তৈরি করলে আপনাকে নিয়মিত নতুন আর্টিকেল পাবলিশ করতেই হবে, সেক্ষেত্রেও নিয়মিত মানসম্মত আর্টিকেল পাবলিশ করে ভিজিটর আনার জন্য এসইও স্পোলিস্ট আর্টিকেল লেখক প্রয়োজন হবে।

প্রতিবর্তনের অভিজ্ঞ কন্টেন্ট রাইটারগণ সুনামের সাথে দেশের বিভিন্ন জনপ্রিয় ওয়েবসাইটের জন্য কাজ করছে। আপনিও চাইলে আমাদের এই সুবিধা নিতে পারেন। এজন্য হেডারের শপ বাটনে ক্লিক করে অর্ডার করতে পারবেন।

একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য এই জিনিসগুলোই মূলত প্রয়োজন হয়। সাইটকে আরো উন্নত করার জন্য পরবর্তীতে আরো অনেক জিনিসই প্রয়োজন হবে। যেমন, আমি আপনাকে একটি ব্লগ বা সাইট মালিকদের জন্য প্রয়োজনীয় টুলসের তালিকা দিতে পারি, যা পরবর্তীতে আপনার অবশ্যই প্রয়োজন হবে।

তবে, শুরু করার জন্য এই ৫-৬টা জিনিসই যথেষ্ট। এর মাঝে, যদি আপনি নিজে আর্টিকেল লেখার পর্যাপ্ত সময় বের করতে পারেন, তাহলে সেটার কোনো দরকার নেই।

ওয়েবসাইট তৈরিতে কি কি লাগে, তা না হয় জানা হলো, এবার চলুন ওয়েবসাইট তৈরিতে কত টাকা খরচ হতে পারে সেবিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।

ওয়েবসাইট তৈরির খরচ | ওয়েবসাইট তৈরি করতে কত টাকা লাগে?

প্রথমে দুইটি প্রশ্নের উত্তর জেনে নিন- আমাকে বলার দরকার নেই, আপনি মনে মনে ঠিক করুন।

  1. ওয়েবসাইট নাকি ব্লগ?
  2. ব্লগার নাকি ওয়ার্ডপ্রেস, নাকি নিজস্ব কোডিং?

যদি ব্লগার এ সাইট তৈরি করতে চান, তবে আপনার ব্লগিং এর জন্য যথেষ্ট। তবে, ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য ব্লগার কখনোই রিকমেন্ডড নয়। কারণ, ব্লগারে একটি ব্লগ তৈরি করার জন্য যথেষ্ট সুবিধা থাকলেও ওয়েবসাইট তৈরির জন্য প্রচুর সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এখানে তারা যা দিচ্ছে তারচেয়ে বেশি কিছু আপনি করতে পারবেন না। যেমন: ব্লগার দিয়ে কখনো ইউজার রেজিস্ট্রেশন করা যাবে এমন কিংবা ই-কমার্স সাইট খোলা সম্ভব না।

আরো পড়ুন:  ব্লগার থেকে টাকা আয় করার ১০ উপায় | ব্লগ তৈরি করে আয় করুন

ব্লগারে ব্লগ শুরু করার খরচ কত?

যদি আপনি ব্লগারে ব্লগিং শুরু করেন, তবে আপনার একটি কাস্টম ডোমেইন প্রয়োজন হবে। যার জন্য আপনাকে ২০০ থেকে ১২০০ (এক্সটেনশনের উপর নির্ভর করবে) টাকা খরচ হতে পারে।

ফ্রি ব্লগার থিম দিয়ে ব্লগিং করা যায়, তবে পেইড নিলে স্পিড বৃদ্ধির পাশাপাশি অন্যান্য ফিচার পাবেন, যা সাইটের লুক আরো আকর্ষনীয় করবে। সেক্ষেত্রে আরো ১০-১৫ ডলার খরচ হবে। সুতরাং, ব্লগারে প্রফেশনালি ব্লগিং করার জন্য টোটাল খরচ হবে ২০০০ থেকে ৩০০০ টাকা।

তবে, আপনি চাইলে সম্পূর্ণ ফ্রিতেও শুরু করতে পারেন। সেক্ষেত্রে ফ্রি থিম ও ফ্রি সাবডোমেইন ব্যবহার করতে হবে। যা কোনোভাবেই ভিজিটরদের কাছে আপনাকে প্রফেশনাল বলে মনে হবে না।

ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট তৈরি করতে খরচ কত হবে?

এখানেও আপনার একটি ডোমেইন প্রয়োজন হবে। যার মূল্য ২০০ থেকে ১২০০ টাকা।

শেয়ারড হোস্টিং এর জন্য প্রতি বছর ১৫০০ টাকা থেকে ৪০০০ টাকা। তবে, আরো ভালো হোস্টিং নেওয়ার জন্য ১০০০০ টাকা বা তারও বেশি খরচ হবে।

থিম: ওয়োর্ডপ্রেস থিমও ফ্রিতে পাবেন, তবে কিছুদিন পরই বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিবে। একটি ভালো মানের ওয়ার্ডপ্রেস থিম কেনার জন্য ১০০-২৫০ ডলার খরচ হবে। তবে, আরো কম দামেও পাবেন, কিন্তু সাইটের স্পিড বৃদ্ধি করতে বেগ পেতে হতে পারে।

প্লাগইন: ওয়ার্ডপ্রেস সাইট শুরু করার জন্য আপনি সকল প্লাগইন ফ্রিতে নিতে পারবেন। তবে, প্লাগইনগুলোর সমস্ত সুবিধা পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই পে করতে হবে। একটি ওয়ার্ডপ্রেস সাইটের সমস্ত কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য গড়ে ১০ থেকে ১২ টি থিম প্রয়োজন হয়। যার মাঝে মিনিমাম ৪-৫টা প্লাগইন এমন থাকবে, যার সমস্ত সুবিধা আপনার প্রয়োজন। সুতরাং, ৫টি প্লাগইনের জন্য গড়ে ১৫০ থেকে ৩০০ ডলার প্রয়োজন হবে।

কোডিং বেজড ওয়েবসাইট তৈরির খরচ

ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য এখানেও আপনার ডোমেইন এবং হোস্টিং এর খরচ পরবে। সেইসাথে একজন ওয়েব ডেভেলপারকে হায়ার করতে হবে। আপনার ওয়েবসাইটের বৈশিষ্ট্য ও জটিলতার উপর ভিত্তি করে ২০০০০ টাকা থেকে ২লাখ টাকা পর্যন্ত চার্জ করতে পারেন।

সেইসাথে ওয়েবসাইটটি মেইনটিনেন্স এর জন্য প্রতি মাসে তাকে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা, কোনো কোনো ক্ষেত্রে আরো বেশি চার্জ করতে পারেন।

কন্টেন্ট রাইটিং খরচ

এটা অপশনাল। আপনার এসইও সম্পর্কে জানাশোনা থাকলে কোনো দরকারই হবে না। যেহেতু, এই আর্টিকেলে যেহেতু আমার উদ্দেশ্য ছিল, ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে, এবং কত টাকা খরচ হয় তা জানানো! তাই আমার উদ্দেশ্য এবং আপনার আর্টিকেলটি পড়ার কারণ ফলপ্রসু করতে একটু ধারণা দিচ্ছি।

বাংলা আর্টিকেল: এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল যা কিনা গুগলে পজিশন তৈরি করতে পারে, এমন লেখা পেতে আপনাকে প্রতি  ১০০০ শব্দের জন্য ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে হতে পারে।

তবে, বেগিনারদের কাছ থেকে ১০০ থেকে ১৫০ টাকায় নিয়ে নিজে এসইও করেও আর্টিকেল পাবলিশ করতে পারেন।

ইংলিশ আর্টিকেল: যদি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটগুলোতে একটু কষ্ট করে প্রবেশ করেন, তাহলে এসম্পর্কে সহজেই ধারণা পাবেন। ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটে একজন ভালো লেখক প্রতিটি আর্টিকেলের জন্য ১০০ থেকে ৫০০ ডলার পর্যন্ত চার্জ করে থাকেন।

তবে, বেগিনারদের কাছে ৫-১০ ডলারেও ভালো আর্টিকেল পাওয়া যায়। এছাড়া, দেশীয় লেখকরা ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত চার্জ করেন।

ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে সেবিষয়ে শেষ কথা

আশা করছি, ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে এবং কত টাকা করচ হবে সেসব বিষয়ে আপনার মনের সকল প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে পেয়েছেন। তারপরেও যদি কোনো প্রশ্নের উত্তর এখানে উল্লেখ করা না থাকে, তবে কমেন্ট বক্সে কষ্ট করে জানিয়ে দিবেন।

আপনার ওয়েবসাইট তৈরি করতে কত টাকা খরচ হলো, তা জানাতে ভুলবেন না যেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top