সেরা ফ্রিল্যান্সিং সাইট | Best 10 Freelancing websites

ফ্রিল্যান্সিং সাইট

ঘরে বসে স্বাধীনভাবে আয় করার জন্য ফ্রিল্যান্সিং সেরা অপশন। ফ্রিল্যান্সিং কাজ খুঁজে পেতে তথা বায়ারদের সাথে কনেক্ট করার জন্য দরকার ফ্রিল্যান্সিং সাইট বা মাধ্যম। ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার হিসেবে অনেকের জন্য সেরা অপশন হলেও সেরা ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট খুঁজে না পেলে যেকউ হতাশ হয়ে যেতে পারেন। তাই, নতুনদের জন্য সেরা ফ্রিল্যান্সিং সাইট নিয়ে আমাদের আজকের আয়োজন।

Freelancing বর্তমানে খুবই জনপ্রিয় একটি আয়ের মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানুষ এখন গতানুগতিক জব করার চেয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করার দিকেই বেশি ঝুঁকছে। অনলাইনে ইনকাম করার যত উপায় রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে রয়্যাল পেশা ফ্রিল্যান্সিং। ফ্রিল্যান্সিংকে অনলাইন ব্যবসাও বলা যেতে পারে।

যেহেতু ফ্রিল্যান্সিংয়ে কোনো ধরাবাঁধা কাজ কিংবা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গন্ডিবদ্ধ করা হয় না, তাই এখন প্রায় সবাই ফ্রিল্যান্সিং সাইটে কাজ করাকেই তাঁদের লক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করছেন।

ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য বর্তমানে অনেক Freelancing Website রয়েছে। এসব ফ্রিল্যান্সিং সাইট থেকে প্রতিনিয়ত অসংখ্য ফ্রিল্যান্সার ঘরে বসেই লাখ লাখ টাকা আয় করছেন।

আপনিও কি ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য এমন কিছু ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট খুঁজছেন?  তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্যই।

আর্টিকেলটিতে ফ্রিল্যান্সিং কি, কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন, এবং ১০টি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সাইট এর সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিবো।  সেইসাথে আপনার যদি কম্পউটার না থাকে, তাহলে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য মোবাইল ফ্রিল্যান্সিং সাইট সম্পর্কেও জানাবো ইন-শা-আল্লাহ।

একনজরে সম্পূর্ণ আর্টিকেল

ফ্রিল্যান্সিং সাইটের কাজ কি?

ফ্রিল্যান্সিং সাইটের কাজ কিফ্রিল্যান্সিং সাইটের কাজ বর্ণনা করতে আমরা একটি বাজারকে কল্পনা করতে পারি। যেখানে বিক্রেতা তার প্রোডাক্ট সাজিয়ে বসে থাকেন, ক্রেতা বিভিন্ন বিক্রেতার প্রোডাক্ট দেখে যার জিনিস পছন্দ হয়, তার থেকে কিনে নেন।

ফ্রিল্যান্সিং সাইটকে যদি আমরা বাজার ভেবে নেই, তবে এখানে বিক্রেতা হলেন একেকজন ফ্রিল্যান্সার এবং ক্রেতারা হলেন আউটসোর্সার।

আমরা অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিংকে এক করে ভাবি। হ্যা এরা দুজনই সম্পৃক্ত তবে একই নয়। যারা কাজ করেন তারা হলেন ফ্রিল্যান্সার, আর যিনি বাইরে থেকে অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সার থেকে কাজ করিয়ে নিলেন, অর্থাৎ তিনি আউট সোর্স থেকে কাজ করে নিলেন তাই, তিনি একজন আউটসোর্সার, এবং একে আউটসোর্সিং বলে।

তবে ফ্রিল্যান্সারদের মার্কেট এবং আউট সোর্সারদের মার্কেট একই। কারণ, ক্রেতা আর বিক্রেতা যদি ভিন্ন ভিন্ন মার্কেটে ঘুরেন, তাহলে তো মেলবন্ধন সম্ভব হবেনা।

সুতরাং, যাহাই ফ্রিল্যান্সিং সাইট, তাহাই আউটসোর্সিং সাইট

ফ্রিল্যান্সিং সাইটের কাজ হলো একটা জায়গা দেওয়া যেখানে, ফ্রিল্যান্সাররা কাজ নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করেন এবং আউটসোর্সাররা ফ্রিল্যান্সার বাছাই করে কাজ বুঝিয়ে দেন।

ফ্রিল্যান্সিং কি | What Is Freelancing In Bangla?

Freelancing  কিংবা Outsourcing  বলতে বুঝায় অনলাইনকে কাজে লাগিয়ে নিজের দক্ষতা দিয়ে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তিবদ্ধ  হয়ে কোনো কাজ করে দেওয়ার মাধ্যমে আয় করা।

অন্যভাবে বলা যায়, ফ্রিল্যান্সিং হলো এমন একটি পেশা যাতে কোনো কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের অধীনে না থেকে স্বাধীনভাবে কাজ করে ইনকাম করা।

সহজ ভাষায় বলি। মনে করুন একজন লোক নতুন একটা কোম্পানি খুলেছেন। এখন উনার কোম্পানির জন্য একটা লগো প্রয়োজন পরলো। তখন উনি উনার এই কাজ করানোর জন্য বিভিন্ন আউটসোর্সিং সাইট গুলোতে এই বিষয়ে দক্ষ লোক খুঁজে কাজটা তাকে দিয়ে করিয়ে নিবেন। মূলত এটাই হচ্ছে আউটসোর্সিং। 

ফ্রিল্যান্সিংকে স্বাধীন বা মুক্ত পেশাও বলা যেতে পারে। গতানুগতিক যেকোনো সরকারি  জবের ক্ষেত্রে আপনাকে যেমন সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৬ টা অবধি কাজ করতে হয়, এক্ষেত্রে কিন্তু তেমনটা করতে হয় না।

আরো পড়ুন:  অনলাইনে ইনকাম করার উপায় ২০২৩ | 18 Ways to Earn Money in Bangladesh

আপনি আপনার ইচ্ছামতো কাজ করতে পারবেন। বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং সাইট গুলোত ঘন্টায় (hourly), ডেইলি (daily), সপ্তাহিক (weekly) বা মাসিক (monthly) হিসেবে বিভিন্ন কাজ পাওয়া যায়।

ফ্রিল্যান্সিং হলো এমন একটি পেশা যেখানে একজন লোক তাঁর দক্ষতা অনুসারে স্বাধীনভাবে কাজ করে আয় করতে পারেন ঘরে বসেই। এখানে সাধারণত দুই পক্ষ থাকে। ক্লায়েন্ট যে কাজটা দিয়ে থাকে, অপরদিকে ফ্রিল্যান্সার হলো যে ক্লায়েন্ট এর কাজটা করে দেয়।

একজন ফ্রিল্যান্সার তাঁর ইচ্ছামতো ফুল টাইম অথবা পার্ট টাইম কাজ করে ইনকাম করতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শুরু করা যায়?

আপনি ইতোমধ্যেই জেনে গেছেন, অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসে নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে আয় করাই হলো ফ্রিল্যান্সিং। তাই ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য অবশ্যই ইন্টারনেট কানেকশন থাকতে হবে। আর লাগবে একটি কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপ । তবে বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিংয়ের এমন অনেক কাজ আছে যা মোবাইল দিয়েই চালিয়ে নেয়া যায়।

 ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য যা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তা হলো কোনো বিষয়ে আপনার দক্ষতা থাকা লাগবে।  তবে আপনার যদি অনলাইনের কোনো কাজের দক্ষতা না থাকে তবে প্রথমে যেকোন বিষয়ে শিখে নিয়ে তবেই ফ্রিল্যান্সিংয়ে আসবেন। কোনো বিষয়ে দক্ষতা না নিয়েই ফ্রিল্যান্সিংয়ে আসাটাকে আমি বোকামি হিসেবেই দেখি।

ফ্রিল্যান্সিং সাইট গুলোতে হাজার হাজার কাজ আছে। আপনি কোন বিষয়টা শিখবেন? সেটা সম্পূর্ণ আপনার আগ্রহ আর ভালো লাগার উপর ছেড়ে দেবেন। এমন কোনো কাজ, যা করতে আপনার ভালো লাগে কিংবা আপনি যে কাজে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন এমন কাজ খুঁজে সে বিষয়ের উপর দক্ষতা অর্জন করে নেমে পড়ুন ফ্রিল্যান্সিং কাজে।

কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করা যায় সেবিষয়ে আমাদের পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইনটি দেখে নিতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং  ক্যারিয়ার কিভাবে গড়বো?

Freelancing career এর কথা শুনে মজা পেলেন নাকি? ফ্রিল্যান্সিংয়ে নতুন এমন অনেকেই হয়তো এই ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারের কথা শুনে চমকে উঠেছেন! আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। বর্তমানে এমন অনেক স্বাধীনচেতা মানুষ আছেন যারা গতানুগতিক জবকে বাদ দিয়ে এই ফ্রিল্যান্সিংকেই নিজের ক্যারিয়ার হিসেবে নিচ্ছেন। 

আপনার মনেও যদি প্রশ্ন থাকে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো? আপনিও যদি এই ফ্রিল্যান্সিং কে নিজের ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে চান, তবে কিছু বিষয় আপনাকে মাথায় রাখতে হবে। চলুন জেনে নেয়া যাক সেসব সম্পর্কে ;

১. লক্ষ্য  ঠিক করুন

সবার প্রথমে আপনাকে আপনার লক্ষ্য ঠিক করতে হবে। আপনি কি সত্যিই ফ্রিল্যান্সিং করতে চান? কতোটুকু সময় দিবেন এই ক্ষেত্রে? 

নিজের চাকরির পাশাপাশি পার্ট-টাইম হিসেবে করতে চান ফ্রিল্যান্সিং?  নাকি ফুল টাইম পেশা হিসেবে নিতে চান এই আউটসোর্সিংকে?

যদি চাকরির পাশাপাশি পার্ট -টাইম হিসেবে নিতে চান, তবে কতোটুকু সময় দিতে পারবেন এই ক্ষেত্রে? 

এসব বিষয় ঠিক করে নিন ফ্রিল্যান্সিং কাজে নামার পূর্বেই।

২. কোন বিষয়ে (Niche)  কাজ করবেন?

ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় এটি। আপনি ফ্রিল্যান্সিংয়ের কোন কাজটি করবেন? তা আগেই আপনাকে ঠিক করে নিতে হবে।  হতে পারে তা article writing,  graphic design, digital marketing ইত্যাদি। তবে যে টপিক কিংবা বিষয়ই নিয়ে কাজ করুন না কেনো তার জন্য আপনাকে অবশ্যই যেসব জিনিস মাথায় রাখতে হবে তা হলো;

  • এমন টপিক (নিশ) নিয়ে কাজ করবেন যার মার্কেট চাহিদা আছে। মার্কেটে ডিমান্ডেবল না এমন কাজ করতে চাইলে আপনি মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ খুঁজে পাবেন না।
  • অবশ্যই এমন কাজ সিলেক্ট করুন যে কাজের উপর আপনার দক্ষতা বা অভিজ্ঞতা রয়েছে।
  • এমন বিষয় নিয়ে কাজ করুন যে বিষয়ে আপনার আগ্রহ কাজ করে। নিজের পছন্দের বিষয় সিলেক্ট করুন যা আপনার কাজকে স্বতঃস্ফূর্ত করতে সাহায্য করবে।

৩. কোন ফ্রিল্যান্সিং সাইটের কাজ করবেন?

বর্তমানে অনলাইনে হাজার হাজার ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস রয়েছে।  যেখানে যেকোনো প্রতিষ্ঠান কিংবা ক্লায়েন্টরা প্রতিনিয়ত কাজ করিয়ে নিচ্ছেন ফ্রিল্যান্সারদের থেকে।

আপনাকে অবশ্যই জনপ্রিয় আউটসোর্সিং সাইট এ কাজ করতে হবে। জনপ্রিয় সাইটগুলোতে ক্লায়েন্ট বেশি থাকে বিধায় বেশি বেশি কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

ফ্রিল্যান্সিং সাইট | Best 10 Freelancing websites

আপনি যেকোনো জনপ্রিয় একটি কিংবা দুইটি মার্কেটপ্লেসে বিশ্বস্ততার সহিত কাজ করে নিজের দক্ষতার পরিচয় দিয়ে কিছুদিনের মধ্যেই নিজের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করতে পারবেন।

আরো পড়ুন:  কন্টেন্ট রাইটিং কি? কন্টেন্ট রাইটিং করে আয় করার উপায়

আপনাদের সুবিধার্থে আমরা এই আর্টিকেলে ১০ টি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সাইট এর নাম তুলে ধরবো।

১. Upwork.com

যেকোনো সফল কিংবা পেশাদার ফ্রিল্যান্সারকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সাইট কোনটি? নিঃসন্দেহে তিনি আপওয়ার্কের কথাই বলবেন।

আপওয়ার্ক ফ্রিল্যান্সিং সাইট

এটি ২০০৩ সালে ওডেক্স নামে প্রতিষ্ঠিত হয়। তবে পরবর্তীতে ২০১৫ সালে এটির নাম পাল্টে হয় আপওয়ার্ক।  জনপ্রিয় প্লাটফর্ম ‘ইল্যান্স’ ও এই সাইটটির সাথে যুক্ত।

এই সাইটে প্রায় ১.২ কোটি ফ্রিল্যান্সার এবং ৫০ লক্ষ ক্লায়েন্ট যুক্ত। তবে দিন দিন এই সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলছে। আপনি এই প্লাটফর্মে সব ধরনের কাজই পাবেন। নিজের দক্ষতা অনুযায়ী কাজ খুঁজে ফিক্সড অথবা ঘন্টা ভিত্তিক রেইটে কাজ করতে পারবেন।

আপওয়ার্ক থেকে আপনি পেপাল, পেওনিয়ার, ব্যাংক ট্রান্সফার পদ্ধতিতে পেমেন্ট নিতে পারবেন। 

২. ছোট কাজের সেরা ফ্রিল্যান্সিং সাইট – Fiverr.com

ফাইভার ওয়েবসাইট

কম রেটে কাজ করতে চাইলে বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটগুলোর মধ্যে এটি হতে পারে বেষ্ট প্লাটফর্ম।  এখানে ৫ ডলারের ছোট কাজ থেকে শুরু করে ১০০০০ ডলারেরও কাজ পেতে পারেন।

এই সাইটে কাজের পরিমাণ এতোই বেশি যে প্রত্যেক ৫ সেকেন্ডে একটি করে নতুন কাজের গিগ পাওয়া যায়। এখানে ভয়েস রেকর্ড, আর্টিকেল লেখা, লোগো ডিজাইন ইত্যাদি জনপ্রিয় কাজের পাশাপাশি ছোট ছোট আরো অনেক কাজ পাওয়া যায়।

ফাইবারে ঘন্টা (Hourly) ভিত্তিক কোনো জব নেই, সবই ফিক্সড প্রজেক্ট। ফাইবার থেকে পেপাল, পেওনিয়ার,  ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে পেমেন্ট নেওয়ার সুবিধা আছে।

ফাইভারে গিগ নিয়ে অনেকেই সমস্যায় পরেন। সমাধান জানতে ফাইভার থেকে আয় করার পূর্ণাঙ্গ টিউটোরিয়াল’টি দেখে নিতে পারেন।

৩. নাম্বার ওয়ান ফ্রিল্যান্সিং সাইট Freelancer.com

সবচেয়ে পুরনো এই সাইট’টি বর্তমানে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে অবস্থান করছে। বর্তমানে প্রায় ১৫ মিলিয়নের চেয়েও বেশি ইউজার রয়েছে এই সাইটে।

এখানে আপনি Web design,  coding,  graphic design  ইত্যাদি জনপ্রিয় কাজসহ নিজের পছন্দমতো যেকোনো কাজ খুঁজে নিতে পারেন। এখানে আপনি ঘন্টা হিসেবে  কিংবা ফিক্সড প্রজেক্টেও কাজ নিতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সার ডট কম

এই ওয়েবসাইট থেকে পেপাল, স্ক্রিল, পেওনিয়ার,  ব্যাংক ট্রান্সফার দিয়ে পেমেন্ট নিতে পারবেন। এই সাইটে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য ১০% ফি চার্জ করার ব্যবস্থা করা হয়।

৪. Guru.com

এটি একটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সাইট।  ২০০১ সালে এর যাত্রা শুরু হয়। এখানে প্রায় ১.৫ মিলিয়নেরও বেশি Users রয়েছে। 

এই সাইটে আপনি app development,  It design, web design  সহ আরো অনেক কাজ পাবেন।  এখানে ক্লায়েন্টরা তাদের কাজের জন্য পোস্ট করে থাকেন, এবং ফ্রিল্যান্সাররা তাদের শর্ত অনুযায়ী কাজ খুঁজে নেন।

এই সাইটটিতে ফিক্সড প্রজেক্টের সাথে সাথে আওয়ারলি প্রজেক্টের সুবিধা ও আছে। এই সাইটে পেপাল, পেওনিয়ার,  ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে পেমেন্ট নেওয়ার সুবিধা আছে।

৫. PeoplePerHour.com

 জনপ্রিয় এই ফ্রিল্যান্সিং সাইটটি ২০০৭ সালে যাত্রা শুরু করে। প্রায় ১৫ লক্ষ ফ্রিল্যান্সার এই সাইটির সাথে জড়িত।

এই সাইটে কম্পিটিশন খুব বেশি। তবে আপনার প্রাইজ (fee) যদি কম হয় তবে অনেক কাজ পাবেন। এছাড়াও এই সাইটটিতে কর্মীদের কাজের পরিপ্রেক্ষিতে রেটিংয়ের ব্যবস্থা আছে। আপনার রেটিং যদি ভালো হয় তবে অনেক কাজ পাবেন এই সাইটে।

পেপাল, পেওনিয়ার,  স্ক্রিল ও ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে পেমেন্ট নেওয়ার সুবিধা আছে এই সাইটটিতে।

৬. ডিজাইনিং কাজের ফ্রিল্যান্সিং সাইট 99Designs.com

আপনি যদি যেকোনো ধরনের ডিজাইন করতে পছন্দ করেন কিংবা ডিজাইনের উপর আপনার দক্ষতা থাকে তবে এই সাইটটি আপনার জন্যই। 

এখানে আপনি Sign up করার পর নিজের করা যেকোনো ডিজাইন সাবমিট করতে পারবেন। এবং কনটেস্টের মাধ্যমে আপনার ডিজাইনে বিড পরবে। কনটেস্টে Win হলে ভালো মানের Price money পাবেন।

এই ফ্রিল্যান্সিং সাইটটিতে পেপাল এবং পেওনিয়ার এর মাধ্যমে পেমেন্ট নেওয়ার সুবিধা রয়েছে।

৭. Speedlancer.com

খুব দ্রুততার সহিত কাজ করার ইচ্ছা থাকলে আপনি এই সাইটটিকে বেছে নিতে পারেন। এখানে আপনি প্রায় সব কাজ ঘন্টার মধ্যেই সেড়ে ফেলতে পারবেন।

তবে এই ফার্স্ট সার্ভিসের জন্য আপনাকে যথার্থ পে করা হবে। মনে করুন আপনি ৬০০ ওয়ার্ডের কোনো কাজ করে দেন তাহলে আপনি পাবেন ৬৯ ডলার। অপরদিকে অন্য কোনো সাইটে করলে পেতেন ২০ কিংবা ৩০ ডলার।

৮. Toptal.com

আপনি যদি খুব ভালো Developer  হয়ে থাকেন তবে এই ফ্রিল্যান্সিং সাইট টি আপনার জন্যই। অন্যান্য সাইটে বিভিন্ন কাজ থাকলেও এই ওয়েবসাইটটিতে ডেভেলপারদের উপর ফোকাস করে থাকে।

আরো পড়ুন:  গ্রাফিক্স ডিজাইন করে কত টাকা আয় করা যায় - সেরা ১০ উপায়

আপনি যদি High quality project  এর সাথে যুক্ত হতে চান, তবে আমি বলবো এই সাইটটি একবার চেক করে দেখতেই পারেন। এদের ক্লায়েন্ট হলো খুব বড় বড় সংস্থা যেমন; Alex, NetApp, KDDI, Springer  ইত্যাদি। 

৯. SimplyHired.com

জনপ্রিয় এই ফ্রিল্যান্সিং সাইট টির সবচেয়ে ধারুণ ব্যাপার হচ্ছে এখানে আপনি ফ্রিল্যান্সিং কাজ পাওয়ার সাথে সাথে আপনার আশেপাশে লোকাল Job এরও সন্ধান করতে পারবেন।

সাইটটিতে আপনি আপনার বায়োডাটা আপলোড করলে, আপনার স্কিল অনুযায়ী কাজ পেয়ে যাবেন। এছাড়াও এখানে কাজের ভিত্তিতে স্যালারি লিস্ট ও পেয়ে যাবেন।

১০. FlexJobs.com

আপনি যদি আপনার সুবিধামতো কাজ খোঁজেন তবে এই সাইটটি আপনার জন্যই।  এখানে আপনি ৫০ ক্যাটাগরির কাজ পাবেন। তাই আপনার সাথে যায় এমন কাজ খুব সহজেই এই সাইটটি থেকে পেয়ে যাবেন।

এছাড়া এই সাইটটিতে আপনি পার্ট টাইম (Part -Time)  কিংবা ফুল টাইম (Full-Time) কাজ করতে পারবেন।

বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সিং সাইট

বাংলাদেশের যুবক যুবতীর মাঝে অনলাইনে ইনকাম করার প্রবণতা যে বাড়ছে তার প্রমাণ বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সিং সাইট বিল্যান্সার ডট কম। এই সাইটটি বাংলাদেশের অনলাইন মার্কেটের কাজের জন্য তৈরি করা হয়েছে।

১০০ টাকা থেকে ১লাখ টাকার কাজও পাওয়া যাচ্ছে এই বাংলাদেশী  ফ্রিল্যান্সিং সাইট থেকে।

বিল্যান্সার বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সিং সাইট

ইন্টারন্যাশনাল ফিল্যান্স সাইটে আমাদের জন্য কমন প্রবলেম পেমেন্ট মেথড। বিল্যান্সার ডট কম এ কাজ করার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, পেমেন্ট সিস্টেম নিয়ে আমাদের চিন্তা করতে হবে না। পেপাল, ব্যাংকের পাশাপাশি রয়েছে মোবাইল ব্যাংক বিকাশও।

যদিও কাজের পরিমাণ কম এখানে, তবে অনেক ছোট ছোট কাজ রয়েছে এবং ইন্টারন্যাশনালি কাজ নিয়ে আসার চেষ্টা চলছে। আশা করি দ্রুুতেই বড় ফ্রিল্যান্সিং কাজের সাইটে পরিনত হবে আমাদের বাংলাদেশি আউটসোর্সিং সাইট

মোবাইল ফ্রিল্যান্সিং সাইট | Mobile Freelancing Website

উপরউক্ত ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে মোবাইল দিয়েও কাজ করা সম্ভব। আপনি হয়তো ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ওয়েব ডিজাইন কিংবা গ্রাফিক ডিজাইন করতে পারবেন না, কিন্তু পডকাস্ট তৈরি, কন্টেন্ট রাইটিং, ইউটউব ভিডিও তৈরি, কপি রাইটিং, মার্কেটিং এসব কাজ তো নিশ্চয়ই করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলো ভিজিট করুন, এবং আপনার পছন্দ এবং মোবাইল দিয়ে করা যাবে এমন সাইটকে কাজের জন্য বেছে নিন। তারপর বিড করে কাজ পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করুন। আশা করি, মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করে দ্রুততম সময়ে নিজের টাকায় আপনি একটি কম্পউটার কিনে নিতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে গিয়ে কী করবেন?

আপনি আপনার দক্ষতাকে যদি সঠিকভাবে কাজে না লাগাতে পারেন তবে হতাশ হওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই।

তাই নিজের দক্ষতাকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারে এগিয়ে যেতে হবে। আপনাদের সুবিধার্থেই এখানে কিছু বিষয় আলোচনা করা হলো;

১) আপনার পারদর্শিতার বিষয়ে জোর দিন

আপনি হয়তো এতোগুলো সেক্টর দেখে ঘাবড়ে যেতে পারেন যে কোন কাজটা আপনি করবেন? কিংবা অতিরিক্ত লাভের আশায় হয়তো  সবগুলোর পিছনে লেগে যাবেন। এমনটা একদমই করতে যাবেন না।

আপনি যে বিষয়ে বেশি পারদর্শী প্রথমে সে বিষয়ে ফোকাস করুন। এরপর আস্তে আস্তে অন্য বিষয়ে কাজ করতে পারেন। 

২) ফ্রিল্যান্সার একাউন্ট খুলুন

প্রোফাইল অনেক ক্ষেত্রে পোর্টফলিও হিসেবে কাজ করে। একটি মানসম্পন্ন Profile তৈরি করার চেষ্টা করুন। ক্লায়েন্টরা অনেক ক্ষেত্রেই ফ্রিল্যান্সারদের প্রোফাইলের উপর ডিফেন্ড করে কাজ দিয়ে থাকে।

৩) কাজ খুঁজুন ও বিড করুন

একটি শক্তিশালী প্রোফাইল তৈরি  করার পর নিজের সামর্থ্য এবং দক্ষতা অনুযায়ী কাজ খুঁজুন।  নিজের কোয়ালিটি সম্পন্ন কাজ পেয়ে গেলে বিড করুন। এক-দুইটা বিড করে বসে থাকবেন না যেনো।

নিজের পছন্দমতো কাজ খুঁজে বেশি বেশি বিড করতে চেষ্টা করুন। সাফল্য আসবেই।

৪) সময়মতো কাজ সম্পন্ন করুন

ক্লায়েন্টদের থেকে কোনো কাজ পাওয়ার পর চেষ্টা করুন ঠিক সময়ে কাজটা করে ডেলিভারি দেওয়ার। আপনার কাজে বিলম্ব হলে ক্লায়েন্টদের আপনার উপর বিরূপ মনোভাব তৈরি হবে। ফলে আপনার রেটিং কমে যাবে।

তাই সঠিক সময়ে কাজ সম্পন্ন করে ক্লায়েন্টের হাতে তুলে দিন এবং অবশ্যই ক্লায়েন্টের সাথে সৌহার্দপূর্ণ ব্যবহার করুন।

৫) পেমেন্ট এবং ফাইভ স্টার রেটিংস নিন

ক্লায়েন্টের কাজ সরবরাহ করে আপনি আপনার পেমেন্ট বুঝে নিন। তাছাড়া কাজ সম্পন্ন করে আপনি ক্লায়েন্টের কাছে আপনাকে রেটিং করার জন্য অনুরোধ করতে পারেন। যদিও কাজ শেষে এমনি ক্লায়েন্টরা প্রোফাইল রেটিং করে যান।

ফ্রিল্যান্সিং সাইট বিষয়ে শেষ কথা

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এতোটাই জনপ্রিয় একটা পেশা যে, শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে কর্মজীবী, গৃহিণী সবাই এটার দিকে ফোকাস করছেন। চাহিদার কথা মাথায় রেখে অনলাইনে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ফ্রিল্যান্সিং সাইট যুক্ত হচ্ছে।

তবে এই ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে কাজ করতে হলে অবশ্যই আপনার এ বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান,  দক্ষতা  থাকতে হবে।  আপনিও যদি ফ্রিল্যান্সিং করতে আগ্রহী হোন তবে নিজের স্কিল দিয়ে এবং উপরে উল্লেখিত যেকোনো জনপ্রিয় সাইটটিতে এক্টিভ হয়ে হয়ে উঠুন দক্ষ ফ্রিল্যান্সার। 

আমরা এই আর্টিকেলে ফ্রিল্যান্সিং ও সেরা ১০ ফ্রিল্যান্সিং সাইট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। এছাড়াও, Freelancing websites নিয়ে যদি আরো কোনো বিষয়ে জানার থাকে, তবে কমেন্ট করে জানিয়ে দিন।

4 thoughts on “সেরা ফ্রিল্যান্সিং সাইট | Best 10 Freelancing websites”

    1. আমাদের অনুপ্রাণিত করার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top