ওয়েব ডেভেলপমেন্ট হলো ইন্টারনেটের জন্য একটি ওয়েবসাইট তৈরির সাথে জড়িত কাজ। ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর পরিসর হতে পারে প্লেইন টেক্সটের একটি সাধারণ একক স্ট্যাটিক পৃষ্ঠা তৈরি করা থেকে শুরু করে জটিল ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন, ইলেকট্রনিক ব্যবসা (e-Commerce), সামাজিক নেটওয়ার্ক পরিষেবা পর্যন্ত।
আপনি যদি ওয়েব ডেভলপমেন্টকে নিজের ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নেওয়ার চিন্তা করেন তাহলে কিভাবে ওয়েব ডেভেলপার হওয়া যায় সেই পথ খুঁজতে হবে। ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কি, কিভাবে ওয়েব ডেভেলপার হওয়া যায় এবিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে এই লেখাটি আপনার জন্য।
আশেপাশে আমরা যা দেখি সবকিছু্রই একজন ডেভলপার আছেন। একটি ওয়েবসাইটও এমনিই তৈরি হয়না, এর পিছনে রয়েছে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর মতো কাজ এবং একজন ওয়েব ডেভেলপার।
আপনি যেখান থেকেই এই পেইজটি ব্রাউজ করছেন না কেনো এই ওয়েব পেইজ বা ওয়েবসাইটটি কিন্তু আগে থেকেই এমন ছিলো তা কিন্তু ভাবা যাবে না। আপনি কতটুকু শক্তি বা সময় খরচ করলেন এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার জন্য? আপনার হয়তো কিছু ইন্টারনেট ডেটা খরচ হয়েছে, এরচেয়ে বেশি আপনার কিছু করতে হয়নি নিশ্চয়ই।
ওয়েবসাইটটি খুঁজেছেন এবং নির্ধারিত ক্যাটাগরি চেপে পছন্দমত তথ্য পেয়ে গেছেন। কিন্তু এই পেজটি বা ওয়েবসাইটটি তো একদিন দুদিনে হয়ে উঠেনি। কেউ একজন এই ওয়েবসাইটটিকে বানিয়েছেন, সাজিয়েছেন। আপনার প্রয়োজনমত সুবিধা মতো বিভিন্ন লে-আউট দিয়েছেন।
ঠিক কোথায় গেলে আপনি ক্যাটাগরি পাবেন এবং কোথায় গেলে বা সার্চ করলে আপনি আপনার পছন্দের লেখা পাবেন সবকিছুই কেউ একজন গুছিয়ে রেখেছেন
যে ব্যক্তিই এই সার্বিক কাজটি নিয়ন্ত্রন করেছেন, তিনিই হলেন ওয়েব ডেভেলপার (Web Developer)। একজন ওয়েব ডেভেলপারের কাজ গুলোকেই ওয়েব ডেভেলপমেন্ট (Web Development) বলে। একইভাবে একটি অ্যাপের জন্য যিনি করেন তাকে অ্যাপ ডেভলপার বলে।
আমাদের আজকের আলোচনায় জানবো ওয়েব ডেভলপমেন্ট কি? কিভাবে ওয়েব ডেভেলপার হওয়া যায়, একজন পূর্ণাঙ্গ ওয়েব ডেভেলপার হতে হলে কি কি শিখতে হবে, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কোর্স কোথায় করা যায়, ওয়েব ডেভেলপার কিভাবে আয় করেন, ইত্যাদি সম্পর্কে। চলুন আলোচনায় যাওয়া যাক!
একনজরে সম্পূর্ণ আর্টিকেল
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কি | What is Web Development?
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট বলতে ওয়েবসাইট তৈরি, নির্মাণ এবং রক্ষণাবেক্ষণের সাথে যুক্ত কাজগুলোকে বোঝায়। ফ্রন্ট-এন্ড ডেভেলপমেন্ট ক্লায়েন্ট-সাইডকে বোঝায় (একটি ওয়েব পেজ কেমন দেখায়)। ব্যাক-এন্ড ডেভেলপমেন্ট সার্ভার-সাইডকে বোঝায় (একটি ওয়েব পৃষ্ঠা কীভাবে কাজ করে)।
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কি সেবিষয়ে নিশ্চয়ই আপনি এখন অনেকটা জানেন। তবুও ওয়েব ডেভেলপমেন্ট নিয়ে আরো বিস্তারিতভাবে জানার আকাঙ্ক্ষা নিশ্চয়ই আছে! তাহলে চলুন আরো বিস্তারিতভাবে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কে জানা যাক।
আমরা যারা পাঠ্যবই পড়ি বা পড়ছি তারা একটি বই কেনার সময় কি কি বিষয় মূলত লক্ষ্য রাখি? বইটি তথ্যবহুল কিনা, লেখার পঠনযোগ্যতা কেমন, দাম কেমন এবং সহজে তথ্য খুঁজে পাওয়া যাবে কিনা। এগুলো আমরা সবাই কম বেশী মেনে চলে একটি বই কেনার পূর্বে।
কিন্তু, আপনি কি পছন্দের বইটি হাতে পাওয়ার পূর্বে কত মানুষ, কি কি কাজ করেছেন সেই খবর আদৌ জানেন কি? বইটির ভিতরের তথ্যগুলো কতজন লিখেছেন। কেউ একজন আবার লেখাগুলোর ফন্ট ঠিক করে পেইজ নম্বর ঠিক করেছেন। কেউ আবার ভুল ত্রুটি থাকলে তা এডিট করেছেন। এরপর আবার সূচিপত্র গুছানো হয়েছে যেন আপনি যেকোনো চ্যাপ্টারে দ্রুততম সময়ে পৌঁছে যেতে পারেন।
পরিশেষে বিভিন্ন ডিজাইন, লে আউট এবং চমৎকার প্রিন্টিং ব্যবহার করে বইটিকে আপনার কাছে আকর্ষণীয় করে তোলা হয়েছে।
বইয়ের এই সমগ্র কাজের সাথে একবার যদি ওয়েবসাইটকে মিলিয়ে দেই তবেই ব্যাপারটা পরিষ্কার হয়ে যায়।
প্রতিটি ওয়েবসাইটের পিছনে একজন থাকেন যিনি তার নিজের দক্ষতা, সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে ওয়েবসাইটটিকে আমাদের নিকট আকর্ষণীয়, সহজে নেভিগেশন এবং তথ্যবহুল করে তোলেন। যিনি এই কাজটি করে থাকেন তাকে ওয়েব ডেভেলপার বলে এবং তার এই দায়িত্বশীল কাজকে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট বলা হয়।
কিভাবে ওয়েব ডেভেলপার হওয়া যায়?
<!DOCTYPE html> <html lang="en"> <head> <title>Title of the document</title> </head> <body> <h1>I love my Country</h1> <p>The name of my country is Bangladesh</p> </body> </html>
একজন ওয়েব ডেভেলপার হওয়ার জন্য আপনাকে ওয়েবসাইট তৈরি করা শিখতে হবে। উপরের এই যেই লেখাগুলো আছে এটি কিন্তু একটি ভাষা। এই ভাষাটিতে একটি হেডিং এবং একটি প্যারাগ্রাফ আছে।
আমরা যদি এই স্ট্রাকচারটি আমাদের ব্রাউজে রান করি তবে দেখতে পাবো প্রথমে লেখা, “I love my country” এবং এর নিচে ছোট করে প্যারাগ্রাফ শুরু হয়ে লেখা আসবে, “The name of my country is Bangladesh”.
এই ভাষাটিকে HTML ল্যাঙ্গুয়েজ বলে। কম্পিউটারের ভাষা আর আমাদের ভাষা এক নয়। কম্পিউটার বুঝবে মেশিনারি ভাষা।
কিভাবে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শেখা যেতে পারে:
ধাপ ১: আপনি যদি ওয়েব ডেভেলপমেন্টে আগ্রহী হন তবে আপনাকে জানতে হবে মার্কআপ ল্যাঙ্গুয়েজ।
Markup Language কী?
- HTML
- CSS
এই দুটি ভাষাকে মার্কআপ ল্যাঙ্গুয়েজ বলে। এই দুটি ভাষা আয়ত্তে আনলে আপনি ওয়েব পেইজ বা সফটওয়ার ডেভেলপমেন্ট করার প্রথম ধাপ অতিক্রম করবেন।
ধাপ ২: ওয়েব ডেভেলপার হওয়ার এই এই ধাপে আপনাকে শিখতে হবে একটি প্রোগ্রামিং ভাষা এবং একটি ডাটাবেজ ভাষা।
- PHP – প্রোগ্রামিং ভাষা
- SQL – ডাটাবেজ ভাষা
এই দুটি ভাষায় আপনি পারদর্শী হলে আপনি কিছু দক্ষতা অর্জন করবেন যা একটি Dynamic ওয়েবসাইট এবং সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের কাজে যথেষ্ট।
ধাপ ৩: যেহেতু আপনার ওয়েবসাইটটিকে দৃষ্টিনন্দন এবং আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে, তাই আপনাকে জাভাস্ক্রিপ্ট ল্যাঙ্গুয়েজ শিখতে হবে। আপনার গ্রাফিক্সের বেশ কিছু কাজ করার প্রয়োজনও দেখা দিতে পারে।
সেক্ষেত্রে আপনাকে Adobe PhotoShop, Illustrator বা Graphics এর বেসিক ধারণা থাকতে হবে। আপনি চাইলে C, C++, Python, Visual Basic দিয়ে সফটওয়্যার তৈরি করতে পারবেন।
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কোর্স কোথায় করা যায়?
হ্যাঁ! ওয়েব ডেভেলপার তৈরি করার জন্য বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এবং সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের উপর বিভিন্ন মেয়াদী কোর্স করায় এবং বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান এতে সার্টিফিকেটেও প্রদান করে।
এমন অনেক প্লাটফর্ম রয়েছে যেখানে যেখানে ঘরে বসে ফ্রি অনলাইন কোর্স করে ওয়েব ডেভলপমেন্ট শেখা যায়। যেমন:
- Udemy
- Coursera
- Google Developer Skills & Web Development Training
- codecademy
- Khan Academy, ইত্যাদি
আপনি যদি ইংরেজি ভাষায় সমস্যা অনুভব করেন, তবে বাংলা ভাষায় কোর্স করার সাইট রয়েছে যেখানে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কোর্স অফার করে যেমন:
- বহুব্রীহি
- শিক্ষক. কম
- ১০ মিনিট স্কুল
- Interactive Cares
- মুক্তপাঠ, ইত্যাদি
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করে আয় করার উপায়
১. পার্মানেন্ট জব:
আমাদের দেশে স্বনামধন্য বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান আছে যারা তাদের ওয়েবসাইট তদারকির জন্য বিভিন্ন ওয়েব ডেভেলপার এবং সফটওয়ার ডেভেলপারদের নিয়োগ রাখেন। খুবই স্বল্প পদে এই নিয়োগটি বরাদ্দ থাকে।
২. ফ্রিল্যান্স ওয়েব ডেভেলপিং:
দেশের ঘরোয়া প্রতিষ্ঠান গুলোর ওয়েব ডেভেলপিং করার শেষে আপনি বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটগুলোতে গিগ আপলোড করতে পারেন। আপনার কাজের দক্ষতা এবং সৃজনশীলতাকে প্রাধান্য দিয়ে বিভিন্ন Buyer নিজে থেকে আপনাকে কাজ দিবেন। আপনি যদি আপনার এই কাজকে নিয়মিত ধৈর্য্যের সাথে চালিয়ে যেতে থাকেন তবে প্রতি মাসে আপনার আয় সর্বনিম্ন ৫০ হাজার হতেই পারে।
একটি ওয়েবসাইট ডেভলপ করতে একজন দক্ষ ডেভলপার ২০ হাজার থেকে লাখ টাকাও নিতে পারেন, সবকিছু সাইটটির কাঠামোর উপর নির্ভর করছে।
৩. পার্ট টাইম জব:
প্রতিটি ওয়েবসাইটের দেখাশোনা করার জন্য একজন ওয়েব ডেভলপারকে নিয়োগ দিতে হয়, প্রতি মাসে এজন্য একজন ডেভেলপার গড়ে ২০ হাজার টাকা নিয়ে থাকেন। এমন ৫টি সাইটের দায়িত্ব নিলেও মাসে ১ লাখ টাকা আসবে।
৪. সোর্স কোড বিক্রি:
আমরা প্রায়শই বিভিন্ন সাইট দেখার পর তার ডিজাইন পছন্দ করে ফেলি এবং নিজেদের ওয়েবসাইটকে সেভাবে সাজানোর চেষ্টা করি। ওয়ার্ডপ্রেস, ব্লগস্পট, শপিফাই এবং অন্যান্য কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম আসার পর থিমগুলোর চাহিদা বেড়ে গেছে। একেকটি থিম ৫০ থেকে ২০০ বা তারও বেশি ডলারে বিক্রি হয়। আবার এমন কিছু থিম আছে, যা বাৎসরিক চার্জ করে থাকে।
এছাড়া, ছোট ছোট প্লাগইন, টুলস এর সোর্স কোড বিক্রি করার জন্য বিভিন্ন স্টক সাইট রয়েছে। যেখানে আপনার ডেভেলপ করা থিম, টুলস সোর্স কোড, প্লাগইন বিক্রি করে আজীবন টাকা আয় করতে পারবেন।
৫. অনলাইন কোর্স:
একজন দক্ষ ওয়েব ডেভেলপার হওয়ার জন্য আমরা সব সময়ই সেরা ওয়েব ডেভেলপার শিক্ষকের কাছে শিখতে চাই। আপনার ওয়েব ডেভেলপমেন্ট নিয়ে ভালো দক্ষতা তৈরি হলে বিভিন্ন অনলাইন কোর্স করার সাইটে নিজের কোর্স আপলোড করে বিক্রি করতে পারবেন।
তাছাড়া, নিজেও ফেসবুক গ্রুপ, ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে কোর্স বিক্রি করে আয় করতে পারবেন।
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন
প্রশ্ন: ওয়েব ডেভেলপার হতে কি বিজ্ঞান শাখার ছাত্র হতে হয়?
এই প্রশ্নটা সবারই মনে আশা স্বাভাবিক তবে বিভিন্ন অফিসে খোঁজ নিতে গেলে দেখা যাবে যে ৮৫% এর বেশী ওয়েব ডেভেলপাররাই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার ক্ষেত্রে বিজ্ঞান শাখার ছিলেন না। তবে তারা কম্পিউটার চালনাতে খুবই ভালোভাবে দক্ষ ছিলেন। মূলত কথাটা এটাই। আপনি কোন বিভাগের ছাত্র তা মুখ্য নয় তবে কম্পিউটার চালনায় বিশেষ দক্ষতা থাকলে আপনি এই দক্ষতার জোরে এগিয়ে থাকতে পারবেন।
প্রশ্ন: কম্পিউটার চালনাতে অভিজ্ঞতা ছাড়াও আর কোনো কিছুর প্রয়োজন আছে কি?
আপনি ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ করতে হলে অবশ্যই আপনার একটি কম্পিউটার থাকতে হবে। কম্পিউটার চালনাতে দক্ষ হতে হবে। এছাড়াও আপনার যেই বিশেষ গুণগুলোর প্রয়োজন হবে তা হলো ধৈর্য্য ও আত্মবিশ্বাস।
এমন বহু স্বনামধন্য ওয়েব ডেভেলপারের নাম আমরা শুনতেই পারতাম যদি না তারা তাদের কাজের প্রতি আত্মবিশ্বাস উঠিয়ে না দিতো। আপনি প্রথম প্রথমই উন্নতির চরম শিখরে পৌছে মাসে লাখ টাকা আয় করে ফেলবেন তা সম্পূর্ণই আপনার ভুল ধারনা। আপনাকে ধৈর্য্য ধারন করতেই হবে। ধৈর্য্য এবং কঠোর পরিশ্রম আপনাকে নিয়ে যাবে উন্নতির শীর্ষে।
প্রশ্ন: আমি কি একজন ওয়েব ডেভেলপার হবো নাকি ওয়েব ডিজাইনার?
প্রশ্নের উত্তরটি সম্পূর্ণ ভাবে নির্ভর করে আপনারই উপর। যদি আপনি একটি ওয়েব পেইজ ডিজাইন (গ্রাফিক্স, এনিমেশন, কালারফুল ফন্ট, লে আউট ইত্যাদি) নিয়ে কাজ করতে বেশী স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তবে আপনি হবেন একজন ওয়েব ডিজাইনার। একজন সফল ওয়েব ডিজাইনারও বিভিন্ন উপায়ে আয় করতে পারেন।
তবে যদি আপনি একটি পেইজের বা ওয়েবসাইটের এডমিনিস্ট্রেটের কাজগুলো করতে পারেন এবং তথ্য নিয়ন্ত্রন করতে পারেন তবে আপনাকে অভিনন্দন আপনি হচ্ছেন একজন ওয়েব ডেভেলপার।
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট নিয়ে শেষ কথা
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কি, কিভাবে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখতে হবে এবং কিভাবে ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে আয় করা যায় সেসম্পর্কে আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
পরিশেষে পরামর্শ থাকবে একটাই, এই প্রতিদ্বন্দ্বীপূর্ণ পরিবেশে টিকে থেকে ব্যবসায় করা দুষ্কর। চাকুরীজীবীরাও নিজেদের চাকুরীর নিশ্চয়তা কোনো ভাবেই দিতে পারছেন না। এমতাবস্থায় নিজেকে এই প্রতিকূল পরিবেশে টিকিয়ে রাখতে হলে অবশ্যই বিকল্প কিছু আবিষ্কার করতে হবে।
ফ্রিল্যান্সিং জগতে গ্রাফিক্স ডিজাইনার এবং ওয়েব ডেভেলপারদের জয়জয়কার। একজন ওয়েব ডেভেলপারকে কখনই আয় – ইনকাম নিয়ে ভাবতে হবে না। তিনি যতটুকু সময় দিবেন ততটুকুই তিনি আয় করতে পারবেন। গতানুগতিক চাকুরী ও ব্যবসা থেকে একজন ওয়েব ডেভেলপারদের আয়ও ভালো।
আশা করি, আর্টিকেলটি পড়ার পর বাংলাদেশ থেকে আরো অনেকে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী হবেন এবং কিছু নতুন ওয়েব ডেভেলপার সৃষ্টি হবে, যারা তাদের সৃজনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিবেন।
অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন । নতুন যারা আছে তারা আশা করি আপনার ব্লগ থেকে অনেকটা বিষয় নিয়ে জানতে পারবে এবং তাদের ক্যারিয়ার কিভাবে গড়ে তুলতে হবে সে বিষয়ে সঠিক সিধান্ত নিতে পারবে ।
অসংখ্য ধন্যবাদ