চুল ঘন করার ঘরোয়া পদ্ধতি – সেরা ১০টি উপায়

চুল ঘন করার ঘরোয়া পদ্ধতি

চুল ঘন করার ঘরোয়া পদ্ধতি জানতে চান? ছেলে, মেয়ে এমনকি মাঝ বয়সীদেরও ঘন কালো ও সুন্দর চুলের আকাঙ্ক্ষা থাকে। সৌন্দর্যের একটি বড় অংশ হচ্ছে আমাদের চুল। তাই আপনার সৌন্দর্য ধরে রাখতে কেমিক্যাল ব্যবহার না করে চুল ঘন করার ঘরোয়া পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে রাখতে হবে।

তবে, চুল ঘন করার আগে চুল পড়া বন্ধ করা দরকার, ফুটো জগে তো আর পানি ভরবে না! তাই নয় কি? চুল পড়া বন্ধ ও চুল ঘন করার উপায় সম্পর্কে সচেতন না হলে খুব দ্রুতই আপনার চুল পড়ে যাওয়া শুরু হতে পারে।

চুল পড়ে গেলে আমাদের সৌন্দর্যের অনেকটা ঘাটতি সৃষ্টি হয়। অনেক কারণেই আমাদের চুল পড়ে যেতে পারে যেমন, থাইরয়েডের সমস্যা, ভিটামিন ই, ভিটামিন ডি এর অভাব ইত্যাদির কারণে। তবে, ভিটামিন ডি এর অভাব জনিত কারণে বেশি চুল পড়তে দেখা যায়।

আমরা যারা এখনো পড়াশোনা করছি বা জব করছি কাজের ব্যস্ততায় সূর্যের আলোয় আলোয় যাওয়াই হয়না। অথচ, ভিটামিন ডি’র প্রধান উৎস সূর্যের আলো। তবে, চুল ঘন করার ঘরোয়া পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নিয়মিত চর্চা করলে চুলের সৌন্দর্য ধরে রাখা সম্ভব।

আদিকাল থেকেই রুপের সঙ্গে চর্চার সম্পর্কে। কাজের চাপে হোক কিংবা অলসতায়, আমরা বেশিরভাগ সময়ে সেই চর্চা টুকু করিনা। অথচ, নিয়মিত যেকোনো অভ্যাসই শরীরে ভালো ফলাফল দেয়।

আপনার চুল ঘন করতে অবশ্যই কিছু চর্চা করা দরকার। তাই আমাদের আজকের আলোচনার বিষয়বস্তু চুল পড়া বন্ধ ও ঘন করার উপায় এবং চুল ঘন করার ঘরোয়া পদ্ধতি

চুল ঘন করার ঘরোয়া পদ্ধতি সমূহ | চুল ঘন করার ঘরোয়া উপায়

চুল কমবেশি সবারই পড়ে, কারো হয়তো বেশী, কারো কম। চুল ঘন করতে চুল পড়ার সমস্যা থেকে আগে বাঁচতে হবে, জানতে হবে কী কারণে চুল পড়ছে

পুষ্টির ঘাটতি, হরমোন সমস্য, অস্বাস্থ্যকর জীবনধারা এবং জেনেটিক ইত্যাদি কারণেও চুল পড়তে পারে। তাই আসল কারণটি খুঁজে বের করে পরিচর্যা শুরু করলে চুল পড়ার সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

তাহলে এখন আমাদের কি কাজ? চুল পড়া বন্ধ করার পাশপাশি নতুন চুল গজাতে হবে, তাই তো!

সম্পূর্ণ ঘরোয়া উপায়ে হাতের কাছে থাকা উপাদান দিয়েই আপনি চুল ঘন করার যাত্রা শুরু করতে পারেন। আসুন জেনে নেয়া যাক চুলের গোড়া মজবুত ও চুল ঘন করার ঘরোয়া পদ্ধতি সমূহ

১। পেঁয়াজ দিয়ে চুল ঘন করার ঘরোয়া পদ্ধতি

পেঁয়াজ দিয়ে চুল ঘন করা যায়

চুল ঘন, লম্বা ও গোড়া মজবুত করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে পেঁয়াজের রস। পেঁয়াজে প্রচুর পরিমাণে সালফার থাকে। যার কারণে নিয়মিত চুলে পেঁয়াজের রস ব্যবহার করলে চুল ঘন হতে শুরু করে। পেঁয়াজের সাথে ক্যাস্টর অয়েল বা নারকেল তেল ব্যবহার করলে চুলের গোড়া মজবুত হয় ও দ্রুত নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।

আরো পড়ুন:  চুল পড়া বন্ধ করার উপায় : জেনে নিন ঘরোয়া সমাধান

প্রয়োজনীয় উপকরণ:

  • পেঁয়াজ
  • ক্যাস্টর অয়েল বা নারকেল তেল

পদ্ধতি:

প্রথমে পেঁয়াজ ব্লেন্ড করে অথবা পাটায় বেটে নিতে হবে। এই পেঁয়াজের সাথে ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। হাতের কাছে castor-oil না থাকলে পরিমাণমতো নারকেল তেল নিতে পারেন।

এই পেস্টটি চুলের গোড়ায় ভালো করে লাগিয়ে নিয়ে ২০ থেকে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে শ্যাম্পু দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে এবং পরে কন্ডিশনার লাগিয়ে নিতে হবে।

২। ডিম দিয়ে চুল ঘন করার ঘরোয়া পদ্ধতি

চুল ঘন করতে ডিম

আমরা অনেকেই গন্ধের ভয়ে মাথায় ডিম ব্যবহার করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি না। কিন্তু ডিমের উন্নত মানের প্রোটিন ও সালফার থাকে। যা আমাদের চুলকে অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক উভয় দিক থেকেই আরও মজবুত ও সিল্কি করে। ডিমের সাথে অলিভ ওয়েল মিক্স করলে এর গুনাগুন আরও বেড়ে যায়।

প্রয়োজনীয় উপকরণ:

  • ডিম
  • অলিভ ওয়েল

পদ্ধতি:

একটি ডিম কুসুমসহ নিতে হবে। এর সাথে ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল নিয়ে মিক্স করে নিতে হবে। কেউ যদি কুসুম না নিতে চান, তাহলে শুধু ডিমের সাদা অংশ নিবেন।

এই মিশ্রণটি চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত ভালোভাবে মেখে ৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। চুল ঘন ও সিল্কি করার এই পদ্ধতিটি বিশেষভাবে কার্যকরী।

৩। আমলকি চুল ঘন করার ঘরোয়া পদ্ধতি

সামনের চুল ঘন করার উপায়

চুলের যত্নে ও চুল ঘন করার উপায় হিসেবে আমলকির ব্যবহার অতি প্রাচীন। আমলকি একটি ভেষজ ঔষধি গুণসম্পন্ন উপাদান। আমলকীতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা চুলের স্বাস্থ্য ঠিক রাখে এবং চুলের গোড়ায় কোলাজেন এর মাত্রা বৃদ্ধি করে চুল বাড়তে সাহায্য করে।

আমলকীর গুঁড়া ও লেবুর রসের মিশ্রণ চুলের খুশকি দূর করে এবং চুল বৃদ্ধি ও মজবুত করে।

প্রয়োজনীয় উপকরণ:

  • আমলকীর গুঁড়া
  • লেবুর রস

পদ্ধতি:

চুলের পরিমান অনুযায়ী আমলকীর গুঁড়া ও লেবুর রস নিয়ে মিক্স করে নিতে হবে। এই মিশ্রণটি চুলের গোড়ায় ভালো করে লাগিয়ে আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। এই প্যাকটি সপ্তাহে এক থেকে দুই বার ব্যবহার করলে ভাল ফল পাবেন।

৪। মেহেদি পাতা দিয়ে চুল ঘন করার ঘরোয়া উপায়

ছেলেদের-চুল পড়া বন্ধ ও ঘন করার উপায়

চুল ঘন করার ঘরোয়া পদ্ধতিগুলোর মাঝে চুলের যত্নে মেহেদি পাতার ব্যবহার খুবই জনপ্রিয়। এটি মাথার ত্বক পরিষ্কার করে ও চুল সিল্কি করে। চুলের গোড়া মজবুত করতে সাহায্য করে। এজন্য মেহেদি পাতা কে চুলের আদর্শ খাবার হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়।

মেহেদি পাতা পেস্ট নিয়মিত ব্যবহার করলে চুলের বৃদ্ধি ঘটবে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে।

প্রয়োজনীয় উপকরণ:

  • মেহেদি পাতা
  • নারকেল তেল

পদ্ধতি:

পরিমাণমতো মেহেদি পাতা নিয়ে অল্প পানি দিয়ে বেটে অথবা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। এর সাথে ২ থেকে ৩ চা চামচ খাঁটি নারিকেল তেল মিশিয়ে মাথায় ভালভাবে লাগিয়ে নিতে হবে। ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই প্যাকটি মাসে এক থেকে দুইবার ব্যবহার করতে পারেন।

আরো পড়ুন:  চুল সিল্কি করার উপায় | রুক্ষ চুল সিল্কি করার ঘরোয়া ১০ উপায়

৫। অ্যালোভেরা দিয়ে চুল ঘন করার ঘরোয়া পদ্ধতি

চুল পড়া বন্ধ করতে অ্যালোভেরা

ঘৃতকুমারী আমাদের চুলের জন্য বেশ উপকারী। এটি চুলের গোড়া মজবুত ও চুল সিল্কি করতে সাহায্য করে। অ্যালোভেরা জেল মাথার ত্বকের মৃত কোষ দূর করে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।

প্রয়োজনীয় উপকরণ:

  • অ্যালোভেরা
  • নারকেল তেল

পদ্ধতি:

প্রথমে অ্যালোভেরা ডাল থেকে জেল বের করে পেস্ট করে নিতে হবে। এর সাথে পরিমাণমতো হালকা উষ্ণ গরম তেল নিয়ে মিক্স করে নিবেন। এটি চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত মেখে নিতে হবে। ২০ থেকে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।

এটি সপ্তাহে এক থেকে দুই বার ব্যবহার করতে পারেন। এই প্যাকটি নিয়মিত ব্যবহারে আপনার চুল স্মুথ এবং সাইনি হবে এবং চুলের আগা ফাটা রোধ, করবে চুল মজবুত হবে।

৬। মেথি দিয়ে চুল ঘন করার উপায়

চুলের যত্নে মেথি

শারীরিক সুস্থতায় মেথির নানাবিধ ব্যবহারের পাশাপাশি মেথি চুল ঘন করার ঘরোয়া পদ্ধতি হিসেবে সকল রূপসচেতন মেয়ের কাছে জনপ্রিয়। মেথি চুলের গোড়া শক্ত করে এবং চুল লম্বা হতে সাহায্য করে। নিয়মিত ব্যবহারে চুলের স্বাস্থ্য বজায় থাকে এবং স্ক্যাল্পের প্রদাহ দূর করে, খুশকি দূর করে চুল মজবুত করে।

প্রয়োজনীয় উপকরণ:

  • মেথি
  • নারকেল তেল

পদ্ধতি:

১ থেকে ২ চামচ মেথি সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। ভিজিয়ে রাখা মেথি পানিসহ ব্লেন্ড করে পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। মেথি ভেজানো পানি তে বেশি পুষ্টি গুণ থাকে। তাই, এই পানি ফেলবেন না।

মেথি পেস্টের সাথে এক চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে মাথার ত্বকে ভালভাবে লাগিয়ে নিতে হবে। ৩০ মিনিট পরে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।

এছাড়া, শুধু মেথি ভেজানো পানি শ্যাম্পু করার এক ঘন্টা আগে মাথায় মেসেজ করে নিতে পারেন। চুলের বৃদ্ধিতে ও চুল গজাতে এটি খুব কার্যকরী একটি উপাদান। এটি সপ্তাহে এক থেকে দুই দিন ব্যবহার করতে পারেন।

৭। চুলের যত্নে পাকা কলা

চুলের গোড়া শক্ত করার উপায়

পাকা কলা চুল ঘন করার ঘরোয়া উপায় হিসেবে উপকারি একটি উপাদান। পাকা কলা চুল পড়া রোধ ও চুল সিল্কি করতে সাহায্য করে।

পাকা কলা তে আছে ভিটামিন, কার্বোহাইড্রেট ও প্রাকৃতিক তেল। যা আমাদের চুলকে সিল্কি করে ও চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এছাড়াও খুশকি দূর করে, চুলের রুক্ষতা দূর করে চুল ঝলমলে করে তোলে।

প্রয়োজনীয় উপকরণ:

  • পাকা কলা ১ টি
  • নারকেল তেল
  • মধু

পদ্ধতি:

প্রথমে একটি পাকা কলার পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। এর সাথে এক চামচ মধু ও এক চা চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে নিতে হবে। এই প্যাকটি চুলে লাগিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এটি নিয়মিত ব্যবহারে চুল সিল্কি ও চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে। চুলের আগা ফাটা রোধ করে।

৮। জবা ফুলের তেল

ঘরোয়াভাবে চুল ঘন করার উপায়

চুলের যত্নে জবা ফুল অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান। জবা ফুলের তেল নিয়মিত ব্যবহার করলে চুল পড়া বন্ধ হবে, চুল ঘন ও কালো হবে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে। চুল কালো করতে অনেকে জবা ফুলের পেস্ট তৈরি করে ব্যবহার করে থাকেন। এটি অত্যন্ত কার্যকরী।

আরো পড়ুন:  সুস্থতায় মেথির উপকারিতা, রূপচর্চায় মেথির ফেসপ্যাক

প্রয়োজনীয় উপকরণ:

জবাফুল ১০-১২ টি

নারকেল তেল ৫০০ গ্রাম

পদ্ধতি:

প্রথমে জবা ফুল ধুয়ে ভালোভাবে পানি শুকিয়ে নিতে হবে। পাত্রে তেল গরম করে তার মধ্যে জবা ফুল দিয়ে মিডিয়াম থেকে লো  আঁচে ৩০ মিনিট জ্বাল করে নিতে হবে। তেলের কালার চেঞ্জ হয়ে আসলে নামিয়ে ছাঁকনির সাহায্য ছেঁকে নিতে হবে। এই তেল অনেক দিন সংরক্ষণ করে ব্যবহার করতে পারবেন।

৯। কালোজিরা তেল

চুল ঘন করার উপায়

চুল পড়া রোধ করতে কালোজিরা তেল খুব কার্যকরী একটি উপাদান। একটানা এক সপ্তাহ কালোজিরা তেল মাথার ত্বকে মালিশ করলে আশ্চর্যজনক ফল পাবেন। এটি নিয়মিত ব্যবহার করলে চুল পড়া বন্ধ হবে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে।

প্রয়োজনীয় উপকরণ:

  • কালোজিরা তেল
  • লেবুর রস

পদ্ধতি:

প্রথমে লেবুর রস মাথার ত্বকে ভালোভাবে ম্যাসাজ করে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে। চুল শুকানোর পর কালোজিরা তেল চুলের গোড়ায় মালিশ করতে হবে।

এভাবে এক সপ্তাহ ব্যবহার করলে ভাল ফলাফল পাবেন। এটি সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন।

১০। ভেষজ তেল

চুল ঘন করার তেলের নাম

এটি অ্যালোভেরা, থানকুনি পাতা, মেহেদি পাতা, কালোজিরা, মেথি, পিয়াজ ইত্যাদির সংমিশ্রণে তৈরি তেল। এই ভেষজ তেলটি চুল ঘন করার ঘরোয়া পদ্ধতি হিসেবে দারুণ কার্যকর।

নিয়মিত ব্যবহারে চুল পড়া রোধ করবে, পাতলা চুল ঘন হবে ও চুলের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে সাহায্য করবে। এই তেল সহজ কিছু উপাদান দিয়ে নিজের ঘরে তৈরি করে নিতে পারবেন।

প্রয়োজনীয় উপকরণ:

  •   নারিকেলের তেল ৫০০ গ্রাম
  •   অ্যালোভেরা ডাল ১ টি
  •   থানকুনি পাতা
  •   মেহেদি পাতা
  •   কালোজিরা
  •   মেথি
  •   পেঁয়াজ

পদ্ধতি:

প্রথমে একটি পাত্রে তেল দিয়ে তার সাথে একে একে অ্যালোভেরা (টুকরো করা), থানকুনি পাতা, মেহেদি পাতা, কালোজিরা (২ টেবিল চামচ), মেথি (২ টেবিল চামচ), পেঁয়াজ (বড় সাইজের ২ টি) এই সব উপকরণ দিয়ে ৩০ মিনিট জ্বাল করে নিতে হবে।

সব উপকরণ ভাজা ভাজা হয়ে গেলে তেলের কালার চেঞ্জ হবে। তখন নামিয়ে ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে নিতে হবে। এই তেল সংরক্ষণ করে অনেক দিন ব্যবহার করতে পারবেন। এই তেল নিয়মিত ব্যবহার করলে চুল পড়া কমে যাবে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে।

চুল ঘন করার ঘরোয়া পদ্ধতি নিয়ে পরিশেষ

চুল পড়ার সমস্যা এখন ছেলে মেয়ে উভয়েই দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অপুষ্টি বা অযত্নের কারণে আমাদের চুল বেশি পড়ে থাকে। প্রতিদিন চুল পড়তে থাকলে চুলে ঘনত্ব ও কমতে থাকে। চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে চুলেরও খাদ্যের প্রয়োজন হয়। চুলের যত্নে খাঁটি নারিকেল তেলের ব্যবহার অপরিহার্য।

এর পাশাপাশি চুলের পুষ্টির জন্য সঠিক খাদ্য গ্রহণ করা জরুরী। চুল পড়া রোধ করতে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার, আয়রন, জিঙ্ক ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার অবশ্যই রাখা উচিত। এছাড়াও নিয়মিত হেয়ার প্যাক ব্যবহার করলে আপনার চুল ঘন ও ঝলমলে থাকবে।

চুলে যত্নে ও চুল ঘন করার উপায় হিসেবে উপরে উল্লেখিত হেয়ার প্যাকগুলো থেকে যে কোন একটি বা একাধিক পদ্ধতি নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন। প্যাক গুলো নিয়মিত ব্যবহার করলে চুল ঘন হবে এবং চুল পড়া বন্ধ হবে।

চুল ঘন করার ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো চুলের গ্রোথ বৃদ্ধি করে চুল থাকবে ঝলমলে ও সতেজ। তবে যাঁদের তুলনামূলক হেয়ার ফল বেশি হয়, নতুন চুল গজায় না বা জিনগত কোন সমস্যা আছে, সে ক্ষেত্রে তাদের অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে হেয়ার ট্রিটমেন্ট করতে হবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top