গর্ভাবস্থায় ৩৮তম সপ্তাহ

এই সপ্তাহের বেশিরভাগ পরিবর্তনই ছোট ছোট, কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। এই সপ্তাহে গর্ভের সন্তান পরিপক্ব হয় এবং তার মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশ ঘটে। এভাবে সে পৃথিবীতে নিজের আগমন ঘটানোর জন্য প্রস্তুতি লাভ করে।

৩৮তম সপ্তাহে আপনার গর্ভের সন্তান

পৃথিবীতে শুভাগমনের জন্য আপনার সন্তান প্রায় প্রস্তুত। আর ক’দিন পরেই আপনি তার মায়াভরা চোখগুলো দেখতে পাবেন। এ সময়ে আপনার সন্তানের শরীরে একটা চর্বির স্তর জমে যা তার জন্মের পরে দেহের তাপমাত্রার ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করবে।

এর মধ্যেই আপনার সন্তানের সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ উন্নত হয়ে যাবে। শুধু মস্তিষ্ক এবং ফুসফুস এর ব্যতিক্রম- এই দুটি অঙ্গ শুধু গর্ভের বাইরেই কর্মক্ষম হবে; যদিও শৈশবে এর পরিপক্বতা পেতে থাকবে।

এই শেষদিকের সপ্তাহগুলোতেও তার মস্তিষ্ক বেড়ে চলছে। প্রকৃতপক্ষে গর্ভাবস্থায় ৩৫ থেকে ৩৯তম সপ্তাহের মধ্যে তার মস্তিষ্কের এক তৃতীয়াংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।

এই সময়ে প্রচুর নড়াচড়া অনুভব করবেন। এসময় বাচ্চা তার আগমনের জন্য জরায়ুকে প্রস্তুত করে। এগুলো সচরাচর নড়াচড়ার থেকে অনেক বেশি সূক্ষ্ম হয়, তাই পেটে লাথি অনুভব করার ক্ষেত্রে মনোযোগ দেওয়া জরুরি।

যদি বাচ্চা পূর্বের মত নড়াচড়া না করে অথবা আপনি যদি কোনো কারণে তার নড়াচড়া নিয়ে কিছুটা চিন্তিত থাকেন তাহলে আপনার ধাত্রী অথবা ডাক্তারের সাথে যত দ্রুত সম্ভব কথা বলুন। বাচ্চার নড়াচড়ার স্বাভাবিকতায় কোনো পরিবর্তনই হতে পারে বাচ্চার কোনোপ্রকার অসুবিধার সংকেত।

৩৯ সপ্তাহকে সাধারণত গর্ভকালীন সময় হিসেবে ধরা হয়। ৩৭ থেকে ৩৮ সপ্তাহ ৬ দিনের মধ্যে জন্মানো বাচ্চাদের “আর্লি-টার্ম বেবি” হিসেবে ধরা হয়।

৩৮তম সপ্তাহের মধ্যেই বাচ্চা জন্মের উপযোগী হলেও শেষ মুহূর্তের কিছু পরিপক্বতা অর্জনের জন্য শেষ এক/দুই সপ্তাহ দরকার হয়।

আপনার নবজাতকের পা থেকে মাথা পর্যন্ত লম্বায় সাধারণত ৪৯.৮ সেমি এবং ওজন তিন কেজির কিছু বেশি হওয়ার কথা।

তবে এটি জেনে রাখা জরুরি যে, উপরের সংখ্যাগুলো সাধারণভাবে গড় হিসাব। সুতরাং, আপনার সন্তানের ক্ষেত্রে এই হিসেবের কিছুটা তারতম্যও হতে পারে। প্রকৃতপক্ষে একজন সুস্থ নবজাতকের উচ্চতা ৪৫ সেমি থেকে ৫৫ সেমি (১৭.৭৫ ইঞ্চি থেকে ২২ ইঞ্চি) পর্যন্ত হতে পারে। অন্যদিকে, ওজনের ক্ষেত্রে ২.৫ কেজি থেকে ৪.৫ কেজি (৫.৫ পাউন্ড থেকে ১০ পাউন্ড) পর্যন্ত হতে পারে।

চোখ

জন্মের সময়ে আপনার সন্তানের চোখ গাঢ় কালো বা ধুসর হতে পারে। তবে তার মানে এই না যে এটা এমনই থাকবে। আপনার সন্তানের চোখের রঙ নির্ভর করবে তার শরীরে উৎপাদিত প্রোটিন ও মেলানিনের পরিমাণের ওপর।

তবে আপনার সন্তানের আইরিস অর্থাৎ চোখের রঙিন অংশ তার প্রকৃত রঙ ধারণ করতে প্রায় এক বছর পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। তার পরেই বোঝা যাবে চোখ বাদামী, নীল, কালো, সবুজ নাকি ভিন্ন কোনো রঙের হবে।

ল্যানুগো

আপনার গর্ভের সন্তানের শরীরে ল্যানুগো নামক এক ধরনের কোমল লোম তৈরি হয় যেগুলো এ সময়ের মধ্যেই পড়ে যাবে। কিন্তু তখনও তার শরীরে ভার্নিক্স নামক এক ধরনের সাদা ক্রিমের মত পদার্থ থাকে যা তার শরীরের ত্বককে অ্যামনিয়োটিক ফ্লুইড থেকে রক্ষা করে।

ফুসফুস

বাচ্চার ফুসফুস এই শেষ সময়েও বৃদ্ধি পাওয়া অব্যাহত রাখে এবং এক ধরনের তরল উৎপন্ন করে যা ফুসফুসের ভেতরের বায়ুথলিকে শ্বাস-প্রশ্বাসের সময়ে একে অপরের সাথে লেগে যাওয়া হতে রক্ষা করে

ভোকাল কর্ড

এই সময়ের মধ্যেই আপনার বাচ্চার ভোকাল কর্ড শক্তিশালী এবং উন্নত হয়ে ওঠে। তার মানে সে কান্না এবং গোঙানির মাধ্যমে পৃথিবীর সাথে যোগাযোগ করতে প্রস্তুত! 

এই সপ্তাহে আপনার সাধারণ লক্ষণসমূহ

বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই আপনার এবং আপনার সন্তানের ওজন বাড়বে। সপ্তাহে এক পাউন্ড করে বৃদ্ধিকে স্বাভাবিক হিসেবে ধরা হয়। তো এর মধ্যেই আপনার ওজন মোট ২৯ পাউন্ডের মত বেড়ে যাওয়ার কথা।

বিএমআই স্বাভাবিক (১৮.৫ থেকে ২৪.৯ এর মধ্যে) থাকলে গর্ভকালীন সময়ে ২৫ থেকে ৩৫ পাউন্ড বৃদ্ধি পেতে পারে। তবুও, একেকজনের ক্ষেত্রে একেক রকম হতে পারে। তাই এই ব্যাপারে নিশ্চিন্ত থাকতে নিয়মিত ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ রাখুন।

এই শেষ সময়ে আপনার ধাত্রী কিংবা ডাক্তার ফিতা দিয়ে আপনার পেটের প্রশস্ততা মাপবেন, আপনার রক্তচাপ পরীক্ষা করবেন এবং প্রস্রাব পরীক্ষার মাধ্যমে প্রি-এক্ল্যাম্পসিয়া (গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপের কারণে সৃষ্ট এক ধরনের জটিলতা) এর সম্ভাবনা আছে কিনা তা জেনে নিবেন। এটা সাধারণত গর্ভাবস্থার দ্বিতীয়ার্ধে বা বাচ্চা জন্মদানের পরে হয়ে থাকে।

এই শেষ সপ্তাহগুলোতে পা ও গোড়ালি হালকা ফুলে ওঠা স্বাভাবিক, কিন্তু যদি অতিরিক্ত হয়ে যায় কিংবা হঠাৎ করেই ফুলে ওঠে, হাত, মুখমণ্ডল কিংবা চোখের চারপাশ যদি অস্বাভাবিকভাবে ফুলে যায় তাহলে আপনি যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তার অথবা ধাত্রীর সাথে যোগাযোগ করুন। এগুলোই মূলত প্রি-এক্ল্যাম্পসিয়ার লক্ষণ।

আপনার কি কখনো হঠাৎ করেই বাসা পরিষ্কার করা, আগেভাগেই খাবার তৈরি করা কিংবা বাচ্চার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছুই আগেভাগে রেডি করে রাখতে ইচ্ছে হয়েছে? ইংরেজিতে একে “নেস্টিং ইনস্টিংক্ট” বলা হয়ে থাকে। সন্তান জন্মদানের আগে আগে অনেক মায়েরাই এই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়ে থাকেন। সবকিছু গোছগাছ করে রাখা দোষের কিছু নয়, তবে এটা সহজভাবেই নিন এবং অবশ্যই প্রয়োজনমত বিশ্রাম নিন। এই সময়ে আপনার অনাগত সন্তানের জন্য প্রচুর শক্তি সঞ্চয় করা প্রয়োজন।

বেখাপ্পা অনুভব করা

আপনি হয়ত অতটা কমনীয়তা অনুভব করছেন না, যতটা অনুভব করতেন গত কয়েক মাস আগেও। আপনার পরিবর্তন শুধু বড় পেট আর অতিরিক্ত ওজনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, সন্তান জন্মদানের প্রস্তুতির জন্য আপনার লিগামেন্ট এবং শরীরের জোড়াগুলো বেশ ঢিলেঢালা হয়েছে। এই পরিবর্তনগুলো পায়ে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে কিছুটা অস্থিতিশীলতা ও অস্বস্তি দিতে পারে। যার ফলে আপনার পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।

তাই শেষ সপ্তাহগুলোতে আপনার শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য কিছুটা বেশি বেগ পেতে হতে পারে। এজন্য নিচে দেওয়া কিছু টিপস অনুসরণ করলে ভাল বোধ করবেন-

  • আরামদায়ক ও সমতল জুতা পরবেন।
  • সময় নিয়ে ধীরে ধীরে হাঁটুন।
  • উপর থেকে কোনো কিছু পাড়তে সাবধানতা অবলম্বন করুন।
  • আপনার চারপাশের জিনিসপত্র সম্পর্কে সচেতন থাকুন।
  • কোনো উঁচু স্থানে ওঠা যথসম্ভব পরিহার করুন।
  • ভারসাম্য হারাতে পারেন এমন যেকোনো কাজ পরিহার করুন।
  • প্রেগন্যান্সি সহায়ক বেল্ট পরুন।
  • নিরাপদ অনুশীলন যেমন গর্ভাবস্থার জন্য বিশেষ ধরনের নির্ধারিত যোগব্যায়াম করুন।
  • সারাদিনে অল্প অল্প করে খান এবং মাথা ঝিমঝিম ভাব করা এড়াতে পর্যাপ্ত তরল খাবার ও পানীয় পান করুন।

৩৮ সপ্তাহে একজন মহিলা সন্তান জন্মদান করতে পারেন কি?

হ্যা! বাচ্চারা তাদের নিজ নিজ সময়েই জন্ম নেয় এবং কখনো কখনো এই সময়টা সপ্তাহ দুয়েক আগেই হয়ে যায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক জরিপে দেখা গেছে যে ২৪ থেকে ২৯ শতাংশ বাচ্চা ৩৭ থেকে ৩৮ সপ্তাহের মধ্যেই জন্মগ্রহণ করে।

কিন্তু মনে রাখতে হবে যে ৩৮ সপ্তাহে সন্তান জন্মদান “আর্লি টার্ম” হিসেবেই ধরা হয়। তাই তাড়াহুড়া করবেন না এবং নিজের ওপর বাড়তি চাপ দিবেন না। বাচ্চাদের সাধারণত একটু বেশি সময় গর্ভে থাকা দরকারি। এতদসত্ত্বেও, ৩৮ সপ্তাহে জন্মদান দরকারি হতে পারে যদি আপনার প্রি-এক্ল্যাম্পসিয়া, ডায়াবেটিসের সমস্যা, জরায়ুর ইনফেকশন বা গর্ভের ফুল সংক্রান্ত কোনো সমস্যা দেখা দেয়।

৩৮ সপ্তাহে ব্যথার লক্ষণ

সত্যি বলতে এটা কিছুটা বিভ্রান্তিকর মনে হতে পারে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই আপনি বেশকিছু সমস্যার মধ্য দিয়ে এসেছেন, যেগুলো আসল চ্যালেঞ্জের খানিকটা মাত্র। তাই এগুলো আলাদা করে বলা মুশকিল।

কিন্তু যখন সত্যি সত্যি প্রসব বেদনা শুরু হবে তখন নিচের লক্ষণগুলো দেখা যেতে পারে-

  • নিয়মিত অসহনীয় টান অনুভব করা। শুয়ে পড়লেও টান কমে না।
  • টানগুলো সময়ের সাথে আরো বেশি অনুভূত হয়।
  • অ্যামনিয়োটিক থলির ভাঙন।
  • মিউকাস ক্ষরণ (এটা বেদনা শুরুর কয়েক সপ্তাহ আগেই শুরু হতে পারে)।
  • ডায়রিয়া।
  • আপনার শ্রোণীদেশে (কোমরের পেছন দিকে) বাচ্চার মাথা অনুভব করা।

এরপরও আপনার প্রসব বেদনা সম্পর্কে নিশ্চিত না হলে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।

অধিকাংশ গর্ভবতী নারীরা, বিশেষত প্রথমবার গর্ভবতী হওয়া নারীরা অন্তত একবার প্রসব বেদনার ভুল সংকেত পেয়ে থাকেন। তাই বেদনা ভেবে হাসপাতালে যাওয়ার পরে যদি জানতে পারেন যে এটি প্রসব বেদনা নয়, তাহলে বিব্রত হওয়ার কিছু নেই, বরং পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে অনেকটা নিশ্চিন্ত হতে পারবেন।

গর্ভাবস্থায় ৩৮তম সপ্তাহে করণীয়

গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন ব্যায়ামের মধ্যে হাঁটা অনেকটা সহজ। তাই এটি গর্ভাবস্থায় ভালো একটি ব্যায়াম হিসেবে পরিচিত। হাঁটার আরো একটা সুবিধা আছে, আর তা হচ্ছে আপনার সন্তানের মাথা আপনার শ্রোণীদেশে কিছুটা আলগা হতে পারে, যা জন্মদানের জন্য সহায়ক হবে।

এই সপ্তাহেই আপনার ডাক্তারের সাথে শেষ গর্ভকালীন সাক্ষাৎ হওয়ার কথা যদি না জন্মদানে বিলম্ব হয়ে থাকে। তাই আপনার শেষ প্রশ্নগুলোর তালিকা তৈরি করে রাখুন। এর মধ্যে থাকতে পারে প্রসব বেদনার শুরুর দিকে কিভাবে সামলাবেন এবং বেদনা কমাতে কী কী করা যেতে পারে ইত্যাদি। অথবা ঘরোয়াভাবে ব্যথা কমানোর সম্পর্কেও পরামর্শ চাইতে পারেন।

ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ঔষুধগুলো সাধারণত দুই ধরণের- ব্যথানাশক, এরা ব্যথা কমায়, কিন্তু ব্যথা বন্ধ করে না অথবা অনুভূতিনাশক, এরা ব্যাথার অনুভূতি বন্ধ করে দেয়। এক্ষেত্রে আপনি কোনটি ব্যবহার করবেন তা জানতে আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই উত্তম।

প্রসবের পূর্বে কী কী হতে পারে সেটা এ সপ্তাহেই সময় করে জেনে নিতে পারেন। আগে থেকেই  জেনে রাখলে নিজেকে মানসিকভাবে আরো বেশি প্রস্তুত ও শান্ত রাখতে পারবেন। ফলে প্রাথমিক কোনো পরিবর্তনেও নিজে নিজেই অনেকটা সামলে নিতে সক্ষম হবেন।

আপনার অনাগত সন্তান নিয়ে আপনি বেশ কয়েকমাস কাটিয়ে ফেলেছেন। এখন গর্ভাবস্থার শেষের দিকের দুয়েক সপ্তাহ বাকি। তাই নিজের এবং সঙ্গীর দিকে খেয়াল রাখা জরুরি। যথাসম্ভব মাথা ঠাণ্ডা রাখুন এবং নিজেদের সময় দিন, যাতে করে অনাগত সন্তানের জন্য অপেক্ষার সময়টা বিরক্তিকর মনে না হয়।

যেসব লক্ষণ অবহেলা করা উচিৎ নয়

গর্ভাবস্থার শেষদিকের লক্ষণগুলো বিরক্তিকর, অস্বস্তিকর এবং অদ্ভুত মনে হতে পারে। কিন্তু কিছু লক্ষণ আছে যেগুলো স্বাভাবিকের বাইরে এবং এগুলো দেখা গেলে যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিৎ।

এসব লক্ষণের মধ্যে আছে-

  • অ্যামনিয়োটিক থলির ভাঙন।
  • মাথা ঝিমঝিম ভাব অনুভব করা, প্রচণ্ড মাথাব্যথা অথবা চোখে ঝাপসা দেখা।
  • জরায়ু থেকে অতিরিক্ত রক্তপাত।
  • জ্বর।
  • প্রস্রাব করতে সমস্যা বা ব্যথা অনুভূত হওয়া।
  • বমি করা ও পাকস্থলীতে খিঁচুনি।
  • হাত ও মুখমণ্ডল হঠাৎ ফুলে ওঠা।
  • বাচ্চার নড়াচড়া হঠাৎ উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাওয়া।

পানির ভাঙন (গর্ভাবস্থায় অ্যামনিওটিক থলির ভাঙন) বাদে বাকিগুলো সাধারণত আসন্ন জন্মদানের স্বাভাবিক লক্ষণ নয়। তাই এগুলোর কোনোটি দেখা গেলে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top