লোগো কী? লোগো ডিজাইন কত প্রকার, কোন ডিজাইন কোথায় ব্যবহার করা হয়?

লোগো ডিজাইন

লোগো শব্দটা নিশ্চয়ই আপনার কাছে অপরিচিত নয়। এই যে সারাদিন এই কোম্পানীর লোগো, ঐ কোম্পানীর লোগো ডিজাইন দেখি, কিন্তু আসলে এই এই লোগো কি? লোগো বলতে কি বুঝায়? কেনই বা Logo প্রয়োজন হয়? কোন কোম্পানীর জন্য কি ধরনের লোগো ডিজাইন করতে হয়? এইসব প্রশ্নের উত্তর দিতেই আমাদের আজকের আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে।

ছোটবেলায় ভাই বোন বা বন্ধুদের সাথে পেন্সিল, রাবার বদলে যাওয়ার ভয়ে আমরা সবাই ই কিন্তু নিজের জিনিসগুলোতে কোনো না কোনো চিহ্ন দিয়ে রাখতাম। কখনো কখনো নিজের নাম লিখে রাখতাম।

অনেক অনেক বছর আগে, যখন মানুষ পড়ালেখাও জানতো না, তখনও তারা তাদের গৃহপালিত পশু যেনো হারিয়ে না যায় বা, কারো সাথে পরিবর্তন না হয়ে যায়, সেজন্য পশুদের গায়ে বিভিন্ন চিহ্ন সিল করে রাখতো।

এর সবই কিন্তু অন্য সবার মধ্যে থেকে নিজেকে বা নিজের বস্তুটিকে আলাদা করে রাখার জন্য। যাতে অন্য কেউ দেখলেও বুঝতে পারে এই জিনিষটি কার।

এই চিহ্ন গুলোই প্রাতিষ্ঠানিক ভাষায় লোগো ( Logo ) বলা হয়। লোগো আবার অনেক প্রকারের হয়। আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় লোগো ডিজাইন কত প্রকার এবং কোন ডিজাইন কোথায় ব্যবহার করা হয়।

পূর্বে আমরা গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং গ্রাফিক্স ডিজাইন থেকে আয় করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। আজ আমরা তারই অন্তর্গত একটি বিষয় লোগো ডিজাইন নিয়ে আলোচনা করবো। জানবো লোগো বিষয়টা আসলে কি?, লোগো কাকে বলে, সব চিহ্নই লোগো কি না।

লোগো (Logo) বলতে কী বুঝায়?

আচ্ছা, “প্রাতিষ্ঠানিক ভাষায়” কেনো বললাম, বলুনতো? কেনো বলেছি সেটি একটু পরে বলছি। আগে বলি লোগো কি বা লোগো কাকে বলে

লোগো হলো একটি চিত্র, চিহ্ন, প্রতীক, অক্ষর বা শব্দ যা দ্বারা কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা ব্র্যান্ড এর পরিচয় ও কাজের ধরন বুঝা যায়।

একটু ভেঙে বলি। লোগো হতে পারে কোনো একটি চিত্র, একটি সাধারণ চিহ্ন, অথবা একটি প্রতীক। কখনো কখনো একটি মাত্র বা একাধিক অক্ষর বা শব্দও হতে পারে।

সেটি অক্ষর হোক, বা চিহ্ন বা যাই হোকনা কেনো, তা দ্বারা ওই কোম্পানিটির বা ব্যক্তিটির পরিচয় প্রকাশ পেতে হবে। সেই প্রতিষ্ঠান কি ধরণের কাজ করে থাকে বা সেই ব্র্যান্ডটি আসলে কাদের জন্য কাজ করে এর সবকিছু শুধুমাত্র ওই চিহ্ন দেখেই বোঝা যাবে। তাই হচ্ছে লোগো।

এখন বলি প্রাতিষ্ঠানিক ভাষা শব্দটি কেনো ব্যবহার করলাম এখানে। কারণ লোগো সেই চিহ্ন গুলোকেই বলে, যেগুলো কোনো প্রতিষ্ঠান বা organization তাদের পরিচিতি বৃদ্ধির জন্য এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্যে করে থাকে। এই প্রতিষ্ঠানটি হতে পারে কোনো ব্র্যান্ড এমনকি কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি ও।

যেমন ধরুন কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, কাপড় বা প্রসাধনীর ব্র্যান্ড। কিংবা কোনো শিল্পী, ডিজাইনার বা ফটোগ্রাফার। আপনি কখনো বড় কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্র্যান্ড কে দেখেছেন, যার কোনো লোগো নেই?

দেখেননি, কারণ সব প্রতিষ্ঠানেরই নিজেদেরকে সবার সামনে তুলে ধরার জন্য লোগো রয়েছে। বর্তমানে অনলাইন শপিং ব্র্যান্ড ও তৈরি হচ্ছে প্রচুর।

আরো পড়ুন:  গ্রাফিক্স ডিজাইন করে কত টাকা আয় করা যায় - সেরা ১০ উপায়

কেউ অনেকজনকে সাথে নিয়ে তৈরি করছে প্রতিষ্ঠান, কেউবা নিজেই সব কাজ করছে। সব বড় বড় প্রতিষ্ঠানের শুরু তো ছোটো থেকেই হয়।

লোগো ডিজাইন কত প্রকার ও কি কি সে বিষয়ে যাওয়ার আগে একটি প্রশ্নের উত্তর দেওয়া দরকার। প্রশ্ন হলো, যে কোনও চিহ্নই কি লোগো?

এর উত্তর হলো, না। আপনি আপনার ইচ্ছেমতো যেকোনো চিহ্ন একে দিলেই সেটি লোগো হয়ে যাবেনা। সেই চিহ্নটির অর্থ থাকতে হবে। তার রং এবং স্টাইল এমন হতে হবে যেনো তা ওই কোম্পানিকে পুরোপুরি সবার সামনে অর্থবহ করে তুলে ধরতে পারে।

লোগো ডিজাইন কত প্রকার (Classification of Logo design) 

আমরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা ব্র্যান্ড এর বিভিন্ন ধরণের লোগো দেখতে পাই। কোনোটি শুধু একটি শব্দ দিয়ে তৈরি, কোনোটি এক বা একাধিক অক্ষর দিয়ে তৈরি, কোনো লোগোতে শুধু একটি চিত্র থাকে, কোথাও আবার চিত্র এবং লেখা দুটোই থাকে।

তবে, এই যে লক্ষ লক্ষ ডিজাইন আর লক্ষ লক্ষ ধরণের লোগো আমরা দেখতে পাই, সেগুলো কিন্তু শুধুমাত্র ৭ টি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। হ্যা, মাত্র ৭ টি।

আপনার হয়তো মনে হতে পারে এতো এতো লোগো ডিজাইন আমরা দেখি, এগুলো হয়তো অনেক অনেক প্রকারভেদ রয়েছে। কিন্তু না, সব ধরণের লোগো ডিজাইন ই এই ৭ টি ক্যাটাগরির কোনো না কোনো ভাগে পড়ে।

প্রধান ৭ ধরনের লোগো ডিজাইন:

  1. Abstract Logo বা Symbolic Logo
  2. Lettermark বা Monogram Logo
  3. Wordmark Logo বা Logotype
  4. Pictorial Mark Logo বা Brandmark Logo বা Logo Symbols
  5. Mascot Logo
  6. Emblem Logo এবং
  7. Combination Mark বা Combination Logo

চলুন, এবার এই লোগো ক্যাটাগরি গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করি। কোন ক্যাটাগরি তে কোন ধরণের ডিজাইন করা হয়, কারা কোন ধরণের লোগো ব্যবহার করেন এবং কোন ধরণের ডিজাইন কোথায় ব্যবহার করা হয় ।

অ্যাবস্ট্রাক্ট লোগো ডিজাইন (Abstract Logo) 

Abstract Logo হলো এমন ধরণের কিছু চিহ্ন বা প্রতীক, যার বাস্তবে কোনো অর্থ নেই। কিন্তু সেই চিহ্ন টি যেই প্রতিষ্ঠানের জন্য তৈরি করা হয়েছে, তাকে সম্পূর্ণ ভাবে represent করতে পারে।

এই ধরণের লোগো ডিজাইন মূলত জ্যামিতিক আকার বা geometrical form এ করা হয়। Abstract Logo আসলে কোনো প্রতিষ্ঠানকে represent করার জন্য একটি অত্যন্ত ভালো choice হতে পারে।

কারণ, এই ধরণের ডিজাইন কোনো traditional চিহ্ন নয়, এটি একটি ইউনিক ডিজাইন, যা ওই ব্র্যান্ডকে সবার মধ্যে আলাদা করে তুলে ধরে এবং ডিজাইন এর সাথে প্রতিষ্ঠানের কাজের ধরন ও খুব সুন্দর ভাবে মিশে যায়।

তাছাড়া, এই লোগো ডিজাইন এর রঙ এবং স্টাইল ও ভিন্ন ধরণের হয়, যা ওই কোম্পানির emotion ও বহন করে। কিছু অতি জনপ্রিয় Abstract Logo design এর উদাহরন হলো, bp এর লোগো, যাতে দেখে মনে হচ্ছে একটি তারা বার্স্ট হচ্ছে। Pepsi এর Logo, Nike Logo. এছাড়াও adidas এর logoও abstract logo design এর উদাহরন ।

অ্যাবস্ট্রাক্ট লোগো ডিজাইন

শুধুমাত্র abstract একটি চিহ্ন বা Logo নতুন কোনো প্রতিষ্ঠানের ব্যবহার করা উচিত নয়। কারণ এই চিহ্ন দেখে নতুন প্রতিষ্ঠান টি সম্পর্কে কেউ কিছু বুঝতে বা জানতে পারবেনা।

সাধারণত, পুরোনো প্রতিষ্ঠান যাদের ইতোমধ্যেই সকলের কাছে পরিচিতি রয়েছে, তারা তাদের লোগো সামান্য পরিবর্তন করে Abstract Logo তে পরিণত করতে পারে।

আরো পড়ুন:  গ্রাফিক্স ডিজাইন কি | গ্রাফিক্স ডিজাইন কত প্রকার

পিক্টোরিয়াল মার্ক লোগো বা, ব্র্যান্ডমার্ক লোগো বা, লোগো সিম্বল 

পিক্টোরিয়াল মার্ক লোগো বা, ব্র্যান্ডমার্ক লোগো (Pictorial Mark Logo or, Brandmark Logo or, Logo Symbols) কিছুটা abstract লোগোর মতই।

এই লোগো ডিজাইন ও চিত্র বা প্রতীক দিয়ে তৈরি করা হয়। তবে পার্থক্য হচ্ছে এই ধরণের লোগোতে যে চিত্রটি ব্যবহার করা হয়,সেটি একটি আইকন এর মতো হয় এবং বাস্তবে এর অর্থও রয়েছে। সাধারণত লোগো শব্দ টি বললেই আমাদের মনে যা আসে, Pictorial logo তাই।

এমনি কিছু পৃথিবী খ্যাত কোম্পানি হলো, Apple কোম্পানী, টুইটার। আপনাকে যখনই apple কোম্পানির নাম বলা হয়, সাথে সাথে চোখের সামনে apple এর একটি চিত্র ভেসে ওঠে।

পিক্টোরিয়াল মার্ক logo

টুইটার এর ছোট্ট নীল বার্তা বাহক পাখি টিকে দেখলেই আমরা বুঝে ফেলি এটি টুইটার এর লোগো।

কিংবা target bulleye এর কথাই ভাবুন। চোখের সামনে তার লাল রঙের তিনটি বৃত্ত যুক্ত লোগোটি কি ভেসে উঠছেনা, যা দিয়ে আসলে ষাড়ের চোখ বুঝানো হয়েছে?

এই ধরণের লোগো ডিজাইনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও কঠিন কাজটি হলো, সঠিক চিত্র নির্ধারণ করা। কখনো কখনো এই চিত্র টি কোম্পানির খুব গভীর কোনো অর্থ প্রকাশ করে।

যেমন snapchat এর সাদা ভুত টি। আবার কখনো প্রকাশ পায় অনুভুতি। ভেবে দেখুন তো world wildlife foundation এর পাণ্ডা টির কথা! যা একটি বিলুপ্ত প্রায় প্রাণীর কথা বলছে!

Abstract logo এর মতই, Pictorial লোগো ও নতুন কোম্পানি গুলোর জন্য উপযুক্ত Logo ডিজাইন নয়।

লেটারমার্ক বা, মনোগ্রাম লোগো (Lettermark or, Monogram Logo ) 

লেটারমার্ক বা, মনোগ্রাম লোগো নাম থেকে কি বোঝা যাচ্ছে? অক্ষর দিয়ে তৈরি লোগো, তাইতো? হ্যা, লেটারমার্ক বা, মনোগ্রাম লোগো আসলেও তাই।

এই লোগো সাধারণত কোনো প্রতিষ্ঠানের নাম অনেক বড় হলে, যেমন ৩ বা ৪ শব্দের হলে, প্রতিটি শব্দের প্রথম অক্ষর নিয়ে তৈরি করা হয়।

কারণ যেকোনো প্রতিষ্ঠানের Logo এমন হওয়া উচিত, যা মানুষ সহজেই মনে রাখতে পারে। যে কোনও অবস্থানের, ভাষার, শিক্ষিত কিংবা অশিক্ষিত মানুষ, সকলেই যেনো তা বুঝতে পারে, একই সাথে বহুদিন মনে রাখতে পারে।

এখন, আপনার কোম্পানি নাম যদি অনেক বড় হয়, অনেকেই তা মনে রাখতে পারবেনা। এতে আসলে লোগো তৈরি করার উদ্দেশ্য ই ব্যার্থ হবে। তাছাড়া, বড় নাম লোগো হিসেবে ব্যবহার করাও অসম্ভব।

যেমন উদাহরণ হিসেবে আমরা nasa এর কথা বলতে পারি। nasa এর পুরো নাম হলো, National Aeronautics and Space Administration.

মনোগ্রাম logo design

আপনিই বলুন, nasa যদি তার প্রতিষ্ঠানের পুরো নামটি লোগো হিসেবে ব্যবহার করতো, তবে কি কেউ তা মনে রাখতে পারতো? কেউই হয়তো এই নাম কখনো বলতোও না।

তেমনি ভাবে IBM এর পুরো নাম International Business Machines Corporation. এর লোগো তৈরি হয়েছে প্রতিটি শব্দের শুধুমাত্র প্রথম অক্ষর নিয়ে।

ঠিক একই ভাবে, Cable News Network এর লোগো CNN, LG হলো Lucky goldstar এর লোগো, Heulette Packard এর লোগো hp এবং Home Box Office এর প্রতি শব্দের প্রথম অক্ষর নিয়ে এর লোগো হয়েছে HBO.

লেটারমার্ক লোগো নতুন প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করতে পারবে। তবে, নতুন প্রতিষ্ঠান গুলো লেটারমার্ক বা, মনোগ্রাম লোগো ব্যবহার করার ক্ষেত্রে, লোগো এর নিচে ছোটো করে কোম্পানির পুরো নাম লিখে তা ব্যবহার করতে হবে, যতদিন না প্রতিষ্ঠানটি সকলের কাছে পরিচিতি পায়।

ওয়ার্ডমার্ক লোগো বা, লোগোটাইপ (Wordmark Logo or, Logotype) 

ওয়ার্ডমার্ক লোগো ও লেটারমার্ক লোগোর মতই। তবে, এই ধরণের লোগো ডিজাইনে কোম্পানির নাম একটি শব্দের হয়ে থাকে এবং পুরো নামটাই লোগো হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

আরো পড়ুন:  সমাধান : ফেসবুকে ব্লগারের সঠিক লোগো আসছেনা কেন?

যেমন, আমরা fedex কোম্পানির কথা জানি, nescafe এর লোগো আমরা দেখি। এখানে কিন্তু কোম্পানির পুরো নামটাই লোগো হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।

এছাড়া, Disney, Canon, visa, Coca-Cola, Google, ebay, alibaba – এগুলো কিছু পৃথিবী খ্যাত কোম্পানি যারা কিনা তাদের প্রতিষ্ঠানের পুরো নাম কেই লোগো হিসেবে ব্যবহার করছে।

ওয়ার্ডমার্ক logo

এই ধরণের লোগো ডিজাইন একেবারে নতুন প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি অত্যন্ত সুন্দর choice হতে পারে। যেই প্রতিষ্ঠান গুলোর নাম এক শব্দের এবং ছোট, তারা চাইলে ওয়ার্ডমার্ক লোগো ব্যবহার করতে পারে খুব সহজেই।

বিভিন্ন কাপড় ব্র্যান্ড, photographer, শিল্পী, বই লেখক, এবং fashion ব্র্যান্ড গুলো ওয়ার্ডমার্ক লোগো ব্যবহার করে থাকে।

মাসকট লোগো ডিজাইন (Mascot  Logo) 

মাসকট লোগো হলো সেই ধরণের লোগো, যাতে বিভিন্ন character ব্যবহার করা হয় ।

যেমন KFC এর লোগো, Pringles এর লোগো। KFC বললেই আমরা এই লোগো তে Colonel কে দেখতে পাই ।এছাড়া gaming প্রতিষ্ঠানের অনেকেই বর্তমানে মাসকট লোগো ব্যবহার করে থাকেন।

মাসকট লোগো

মাসকট লোগো তে ব্যবহৃত character বা চরিত্রটি সাধারণত খুবই আকর্ষণীয় এবং ইন্টারেস্টিং হয়ে থাকে। এই লোগো তে প্রধান ফোকাস থাকে চরিত্রটিকে ফুটিয়ে তোলা। আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রধান টার্গেট client যদি পরিবার ও শিশুরা হয়, তবে এই লোগো হবে আপনার best choice.

এমব্লেম লোগো (Emblem Logo) 

Starbucks এর লোগো চেনে না এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবেনা। কেমন দেখতে এই Starbuck এর লোগো টি?

এমব্লেম লোগো  বলা হয় সেই লোগো গুলোকে, যাতে লোগো আইকন এর ভেতরে প্রতিষ্ঠানের নাম টি লেখা থাকে। এই ধরণের লোগো সাধারণত দেখতে ব্যাচ, সিল, স্ট্যাম্প বা শীল্ড আকৃতির হয়।

অনেক পুরাতন, ঐতিহ্যবাহী কোনো প্রতিষ্ঠান হলে, তাদের লোগো এমন দেখা যায়। এছাড়া সরকারি প্রতিষ্ঠান গুলোও এই ধরণের Logo ব্যবহার করে থাকে।

কিছু এমব্লেম লোগো ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠান হলো Starbucks, Harley davidson, BMW, Lamborghini, Harvard University.

এমব্লেম লোগো

অনেক পুরোনো ঐতিহ্যবাহী ও শক্তিশালী বা প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠান গুলো এই লোগো ব্যবহার করে থাকে।

কম্বিনেশন মার্ক বা, কম্বিনেশন লোগো ডিজাইন

কম্বিনেশন মার্ক বা, কম্বিনেশন লোগোর (Combination Mark or, Combination Logo) আসলে নির্দিষ্ট কোনও গঠন নেই।

এই লোগো অন্যান্য লোগো গুলোর একটি বা দুটি মিলে তৈরি হয়। নতুন প্রতিষ্ঠানের জন্য কম্বিনেশন লোগো অসাধারণ একটি choice হতে পারে। এই ধরণের লোগো ডিজাইনে আপনি বেশির ভাগ সময়েই দেখতে পাবেন একটি চরিত্র বা প্রতীক ebong সাথে একটি typography.

উদাহরন হিসেবে আমরা বলতে পারি burger king, Pizza hut, doritos, adobe কিংবা jaguar কোম্পানির কথা।এরা প্রত্যেকেই একটি চিত্র এবং সাথে typography ব্যবহার করে লোগো টি তৈরি করেছে।

কম্বিনেশন লোগো

নতুন কোম্পানি গুলো শুরুতে তাদের নাম সহ কম্বিনেশন লোগো তৈরি করলেও, কিছু বছর পর যখন তাদের পরিচিতি অনেক বেড়ে যায়, তখন তারা নামটি বাদ দিয়ে শুধু চিহ্ন ব্যবহার করে থাকে।

যেমন apple এর পূর্বের লোগো তে কোম্পানির নাম লিখা থাকলেও বর্তমানে শুধু apple এর আইকন টিই ব্যবহৃত হয়। একই ভাবে, nike এর পূর্বের লোগো তে Nike শব্দটি লেখা থাকতো। কিন্তু এখন আমরা শুধু tick mark দেখেই চিনতে পারি এটি Nike এর লোগো।

শেষ কথা

আশা করছি লোগো ডিজাইন, প্রকারভেদ এবং কোন লোগো কোথায় ব্যবহার করা হয়, সেবিষয়ে একটি পরিষ্কার ধারণা আপনি পেয়েছেন। লোগো একটি প্রতিষ্ঠান কে পুরোপুরি ভাবে সবার মধ্যে থেকে আলাদা করে তুলে ধরে, একটি প্রতিষ্ঠানের পরিচয় হচ্ছে তার লোগো।

তাই, কোন প্রতিষ্ঠানের সাথে কোন লোগো সবচেয়ে ভালো মানিয়ে যাবে, তা খুবই চিন্তা ভাবনা ও সতর্কতার সাথে ঠিক করতে হবে। কারণ, আপনার প্রতিষ্ঠানের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এই একটি চিহ্নই আপনাকে represent করবে।

2 thoughts on “লোগো কী? লোগো ডিজাইন কত প্রকার, কোন ডিজাইন কোথায় ব্যবহার করা হয়?”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top