এডসেন্স এড লিমিট সাম্প্রতিক সময়গুলোতে অ্যাডসেন্স পাবলিশারদের জন্য একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মূলত এডসেন্স ad serving limits অর্থ হলো আপনার Monetization প্রচেষ্টা সীমাবদ্ধ এবং আপনি এডসেন্সের মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইট থেকে রেগুলার রিভিনিউ ইনকাম করতে পারবেন না। বেশিরভাগ সময় বিজ্ঞপন দেখানো বন্ধ করে দেয়, আবার কখনো খুবই কম সংখ্যক বিজ্ঞান দেখায়।
একটি এডসেন্স একাউন্ট খোলার পর যখন কোনো ব্লগে Adsense এপ্রুভাল পাওয়া যায় তখন যেমন আনন্দ হয়, বিপরীভাবে এড লিমিট হলে আমাদের মনটা খারাপ হয়ে যায়।
এই পোস্টে আমরা জানবো, গুগল কেন এডসেন্স বিজ্ঞাপন প্রদানে লিমিট করে দেয়, Adsense Ad serving Limits এর প্রকারভেদ, কীভাবে এডসেন্স লিমিট ঠিক বা fix করা যায়।
একনজরে সম্পূর্ণ আর্টিকেল
বিভিন্ন ধরণের এডসেন্স এড লিমিট
আচ্ছা বলুন তো, কেন গুগল আপনার অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট প্রদর্শিত বিজ্ঞাপনের সংখ্যা লিমিট করতে পারে? এটি সমস্তই তাদের বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্কের সততা ও নিরাপত্তার কারণে।
তারা বিজ্ঞাপনদাতাদের প্রতারণা, ব্যবহারকারীদের খারাপ অভিজ্ঞতা থেকে রক্ষা করতে এবং পাবলিশারদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায়।
বর্তমানে, পৃথক দুই ধরনের এডসেন্স এড লিমিট বিদ্যমান:
- Account being assessed
- Invalid traffic concerns
এডসেন্স বিজ্ঞাপন লিমিট ট্রাফিক মান এবং সোর্সের সাথে সম্পর্কিত। যতক্ষন পর্যন্ত ভ্যালিড ট্রাফিক সোর্স খুজে পাওয়া না যায়, ততক্ষণ পর্যন্ত এডসেন্স লিমিটেড অবস্থায় থাকতে পারে।
Account being assessed
যখন গুগলের ট্রাফিক সোর্স নিয়ে সন্দেহ হয়, বিশেষ করে অর্গানিক ট্রাফিক যদি খুবই কম থাকে তখন সন্দেহ প্রবল হয় এবং এধরনের এড লিমিট করে দেয়।
এই Adsense Adserving Limit কতদিনে ঠিক হবে তা বলা যায় না। যখনই গুগল সন্তোষজনক ভ্যালিড ট্রাফিক সোর্স খুঁজে পাবে, অটোমেটিক্যালি আপনার অ্যাডসেন্স লিমিট ঠিক হয়ে যাবে।
Invalid traffic concerns
এখানেও ব্লগের ট্রাফিক সোর্স নিয়ে গুগল যখন সন্দেহ প্রকাশ করে ঠিক তখনই এ ধরনের অ্যাড লিমিট হয়।
উপরের লিমিটের মতো এধরনের বিজ্ঞাপন লিমিট হওয়ার পরেই গুগল আপনার ট্রাফিক সোর্স রিভিউ করতে থাকে। ভ্যালিড ট্রাফিক সোর্স খুঁজে পেলেই অ্যাড লিমিট সমস্যার সমাধান দিয়ে আপডেট করে দিবে।
প্রযুক্তির এই যুগে মানুষ ইনকামের জন্য বহু খারাপ পথ বেছে নেয়। রোবট ট্রাফিক ব্যবহার করে অনেকেই অ্যাডসেন্স ইনকাম বাড়িয়ে নিতে চায়। কিন্তু গুগল তো আর কম স্মার্ট নয়।
ইনভ্যালিড ট্র্যাফিক কি তা জানেন? বিভিন্ন ধরণের Invalid ট্র্যাফিক রয়েছে, তবে সাধারণত ইনভ্যালিড ট্র্যাফিক বলতে বুঝায় সেসব ট্রাফিক যা বট দ্বারা উৎপন্ন এবং অ্যাডসেন্স বিজ্ঞাপনগুলিতে ক্লিক করার উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়।
মনে রাখা দরকার, ভুল করে এড ক্লিক করলেও গুগল তাকে Invalid ট্র্যাফিক ধরে নেয়।
এডসেন্স এড লিমিট থেকে নিরাপদ থাকার উপায়
প্রকাশক হিসাবে বিজ্ঞাপন দাতাদের গুণগত ও মানসম্পন্ন ট্র্যাফিক নিয়ে আসা আমাদের দায়িত্ব। এটি কেবলমাত্র আমাদের Adsense অ্যাকাউন্টকেই নিরাপদ করে না বরং ভালো সিপিসি পেতে এবং আরো বেশি আয় নিশ্চিত করতে সহায়তা করে।
ট্রাফিক সোর্স এবং কোয়ালিটি দেখার মতো আমাদের কাছে তেমন কোনো ক্ষমতা নেই যেভাবে গুগল এসব পর্যবেক্ষণ করে। তবে এমন কিছু পদক্ষেপ রয়েছে যা মেনে ট্রাফিক এক্সপেরিয়েন্স উন্নত করে সমস্যাগুলো প্রতিরোধ করার চেষ্টা করতে পারি:
১. Play fair
প্রায়শই বিভিন্ন পাবলিশার্স আরো বেশি ইনকাম করতে গিয়ে বিজ্ঞাপন সীমাবদ্ধতার স্বীকার হন। তারা বিভিন্ন ট্রিকস চেষ্টা করে দেখন যেমন ভুলবসত ক্লিক পরবে এমন জায়গায় বিজ্ঞাপন কোড বসানো, কিংবা কোনো আনওয়ান্টেড সোর্স থেকে জোরপূর্বক ট্রাফিক নিয়ে আসা।
এসব করে ট্রাফিক নিয়ে আসলে কিংবা ক্লিক করতে বাধ্য করলে এড সার্ভিং লিমিট থেকে শুরু করে এডসেন্স একাউন্ট সাসপেন্ড হয়ে যেতে পারে।
যদি লক্ষ্য করে থাকেন তাহলে দেখবেন, যারা ব্লগ থেকে অনেক ইনকাম করেন তারা এসব ট্রিক্স করতে যান না। দীর্ঘসমসয় ধরে ইনকাম করার জন্য আপনাকে সৎ হতে হবে।
২. অতিরিক্ত অ্যাড না বসানো
আপনি যদি একটি পেজে কনটেন্ট এর চেয়ে বিজ্ঞাপন বেশি রাখেন তাহলে প্রথমত ভিজিটরস বিরক্ত হবে, এজন্য ট্রাফিক লস করতে পারেন।
দ্বিতীয়ত, ভুলবসত বিজ্ঞাপনে ক্লিক পরতে পারে, যা গুগল ইনভ্যালিড ট্রাফিক ধরে নিয়ে এডলিমিট করে দিবে।
এক্ষেত্রে আমাদের পরামর্শ ম্যানুয়াালি কোড না বসিয়ে অটো অ্যাড একটিভ করে দিন।
একটি পেজে অতিরিক্ত বিজ্ঞাপন দেখাবেন না। কনটেন্ট বেশি থাকলে সর্বোচ্চ ৬টি লিমিট করে দিন। যদি বেশিরভাগ কনটেন্টে ৬০০’র কম শব্দ থাকে তবে ৪টির বেশি নয়।
৩. Watch your ad spacing
দুর্ঘটনাজনিত ক্লিকগুলির সর্বাধিক সাধারণ কারণগুলোর মধ্যে একটি হলো বিজ্ঞাপন এবং প্রয়োজনীয় লিঙ্কগুলোর মধ্যে poor spacing.
৪. Don’t allow ads to be confused as content
দুর্ঘটনাজনক ক্লিকের আর একটি সাধারণ কারণ হলো বিজ্ঞাপনগুলি যখন কন্টেন্টের মতো দেখতে ফর্ম্যাট হয়।
ব্যবহারকারীরা যদি এমন কোনও বিজ্ঞাপনে ক্লিক করেন যা তারা কনটেন্ট মনে করেছিলেন, তখন তারা অপ্রত্যাশিত কোনো সাইটে চলে যেতে দেখলে দ্রুত সাইটটি বন্ধ করে ফিরে আসবেন। যা গুগলকে ইনভ্যালিড ক্লিক এবং ট্রাফিকের স্পষ্ট নিদর্শন দিবে।
গুগল এডসেন্স এড সার্ভিং লিমিট হলে কী করবেন?
প্রথমেই AdSense Program Policy ভালো করে পড়ে নিন। এরপর যেসব কারণে এড দেখানো লিমিট হয়ে যেতে পারে সেসব কোনো কারণ আইডেন্টিফাই করতে পারলে ফিক্স করে ফেলুন।
কেননা, এড লিমিট হওয়ার পরেও আপনার অ্যাডসেন্স একাউন্টে আপনার সম্পূর্ণ একসেস থাকবে। সুতরাং ট্রাফিক মনিটরিং করতে আপনার কোনো সমস্যা হবে না। তাই প্যানিক হবেন না।
গুগল জানাচ্ছে অ্যাড লিমিট হলে আপনার অতিরিক্ত কোনো কিছুই করার প্রয়োজন নেই। গুগল সাজেস্ট করে, আপনি যা করতে পারেন তা হলো নতুন নতুন ইউনিক কনটেন্ট তৈরি করা চালিয়ে যাওয়া। সেই সাথে অর্গানিক ট্রাফিক নিয়ে আসার জন্য চেষ্টা করা।
Google AdSense Ad serving Limits কতদিনে ঠিক হবে তার কোনো নির্দিষ্ট পরিসীমা নেই তবে, গুগল আপনার ভ্যালিড ট্রাফিক সোর্স খুঁজে পাওয়ার সাথে সাথেই সমস্যার সমাধান করে দিবে। সাধারণত ১৫ থেকে ৩০ দিনের মাঝেই এড লিমিট সমস্যা ঠিক হয়ে যায়।
শেষ কথা
গুগলের কাছে পাবলিশার্স এবং বিজ্ঞাপনদাতা দুপক্ষই সমান গুরুত্বপূর্ণ। টাকা দিয়ে প্রচার করা অ্যাড বট এসে ক্লিক করবে এটা কেউ মেনে নিবে না। তাই নিজের স্বচ্ছতা বজায় রাখতেই গুগল এডসেন্স এড লিমিট দিয়ে থাকে।
তবে আপনার নিজের কোনো ভুল না থাকলেও বিজ্ঞাপন সীমিত হয়ে যেতে পারে, তাই এজন্য বিভিন্ন কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ।
যদি ওয়ার্ডপ্রেসে ব্লগিং করেন, তবে ইনভ্যালিড ক্লিক থেকে রক্ষা পেতে বিভিন্ন প্লাগইন রয়েছে, যেগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
এডসেন্স অ্যাক্টিভ হওয়ার ২ ঘণ্টার মধ্যে অ্যাড লিমিট দিয়েছে ।
আজকে প্রায় আড়াই মাস হয়ে গেলেও এখন অ্যাড লিমিট রয়েছে ।
এখন কি করতে পারি??
সম্ভবত আপনার ট্রাফিক অর্গানিক নয়। অথবা অনেক বেশি পরিমাণ এড লাইভ করেছেন। অর্গানিক ট্রাফিক আনার চেষ্টা করুন, সেইসাথে শুধুমাত্র in article এ ২-৩ টা এড রেখে বাকিগুলো বন্ধ করুন। প্রয়োজনে আমাদের ফেসবুক পেজে নক দিন।
Vai ami akjon blogger,,,,,,But apnar content ta amake onek valo legece,,,,,,,,Tai apnake asonkkho dhonnobad,,,,,,
ধন্যবাদ