মোবাইল দিয়ে বিকাশে টাকা আয় ও মোবাইল দিয়ে টাকা আয় বিকাশে পেমেন্ট app গুগল সার্চ রেজাল্টের টপ লিস্টে থাকছে কয়েক বছর হলো। আমি নিজেও আগে মোবাইল দিয়ে আয় করে বিকাশে টাকা নেওয়ার উপায় ও app খুঁজতাম।
কিন্তু, গুগলে how to earn money online from phone সার্চ করে এতো এতো ভিডিও দেখে, আর্টিকেল পড়েও মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার কোনো সঠিক উপায় খুঁজে পাচ্ছিলাম না।
বেশিরভাগ ভিডিওতে আশা দেখায় মোবাইল দিয়ে হাজার হাজার ডলার আয় করে বিকাশে টাকা নেওয়া যাবে। কিন্তু, সত্যি বলতে বেশিরভাগ অনলাইনে টাকা আয় করার সাইট কিংবা অ্যাপসগুলোই ভুয়া হয়ে থাকে। অথবা, এমনসব উপায় বলে যা বাংলাদেশ থেকে সম্ভবই না। যদি সত্যি সত্যি পেমেন্ট করেও থাকে তবুও ১০০ টাকা ইনকাম করতেই ১০০ টাকার বেশি ডাটা খরচই করতে হয়।
যেহেতু আমি নিজেও ভুক্তভোগী তাই অভিজ্ঞতাকে সঞ্চয় করে মোবাইলে আয় করার উপায় নিয়ে আজকে লিখতে বসলাম। এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে ভাই আপনি তো মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার app কিংবা উপায় খুঁজে পাননি, অথচ অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে করার উপায় নিয়েই লিখছেন, তাহলে কি আপনিও মিথ্যা বলবেন? আমি কি মোবাইল দিয়ে আয় করতে পারবো না!!
ঘাবড়াবেন না, অবশ্যই মোবাইল দিয়ে আয় করে বিকাশে টাকা নেওয়া যায়। তবে, আমি আপনাকে কোন প্রলোভন দেখাবো না। বাস্তবতা তুলে ধরে অনলাইনে আয় করার সঠিক, বাস্তব এবং বিশ্বস্ত উপায় সম্পর্কে আলোচনা করবো।
তবে যারা মোবাইল দিয়ে এখনই দিনে হাজার টাকা আয় করতে চান, তারা আর্টিকেলটি স্কিপ করতে পারেন কারণ, এমন দ্রুত কোন প্রসেস আমার জানা নেই। আর না আমি কোন আর্নিং অ্যাপসের কথা বলবো যেখানে আপনি শুয়ে বসে আয় করতে পারবেন।
একনজরে সম্পূর্ণ আর্টিকেল
মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করে বিকাশে পেমেন্ট নিন
গুগলে বেশিরভাগ মানুষ মোবাইলে টাকা আয়ের সহজ উপায় খুঁজে ( easy ways to earn by mobile in bangladesh ), কিন্তু কতজন মানুষ মোবাইলে অনলাইনে আয় করার কার্যকরী উপায় খুঁজেছেন? সম্ভবত হাতেই গোনা যাবে।
দুনিয়ায় এমন কোন কাজ নেই যা আপনি পরিশ্রম ছাড়া করতে পারবেন। আপনাকে শারীরিক কিংবা মানসিকভাবে পরিশ্রম করতেই হবে।
যেহেতু এখনো আপনি আর্টিকেলটি পড়া চালিয়ে যাচ্ছেন তারমানে আমি ধরে নিচ্ছি কার্যকরভাবে কিভাবে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করবেন সে বিষয়ে আপনি জানতে চান।
কিভাবে মোবাইল দিয়ে আয় করে বিকাশে টাকা নেওয়া যায়?
উপরের আলোচনায় আমরা অনেক কঠিন কথা বলেছি এখন একটা আশার কথা বলি। আমরা যেসব কাজ নিয়ে আলোচনা করবো ব্যাসিকালি এজন্য আপনার কোন স্পেশিফিক দক্ষতার আবশ্যকতা নেই, যেসব কাজ করতে হবে তা আপনি অবশ্যই জানেন। এমনকি এই কাজগুলোকে আপনি চাইলে প্রফেশনালি ফুল টাইম কাজ হিসেবেও নিতে পারেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে মোবাইল দিয়ে আয়
আপনাকে আমি আজ যতগুলো মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার উপায় বলবো, এদের মাঝে সবচেয়ে সহজ এবং লাভজনক উপায় হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অন্যদেশে লাখ লাখ ডলার ইনকাম করছেন অনেকে।
অনেক ওয়েবসাইট অনেলাইনে রয়েছে যারা শুধুমাত্র অ্যাফিলিয়েট ইনকামের জন্যই টিকে আছে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে অনলাইনে মোবাইল দিয়ে আয় করতে হলে আমাদের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে একটু জেনে নিতে হবে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি?
ধরুন আপনার কোন প্রোডাক্ট আছে, আপনি আমাকে কমিশন দিবেন এই শর্তে আমি আপনার প্রোডাক্ট এর বিজ্ঞাপন করে বা বিভিন্ন জায়গায় শেয়ার করে কিছু প্রোডাক্ট বিক্রি করলাম। আমার জন্য আপনার কিছু প্রোডাক্ট বিক্রি হলো এটাই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।
অর্থাৎ অন্যের পণ্য বিক্রি করতে সাহায্য করে কমিশন হিসেবে টাকা নেওয়া। অনলাইনে কাজটি আরো বেশি সহজ।
অনলাইনে কিভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন?
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য প্রথমে আমাদের একটি নিশ বা টপিক সিলেক্ট করতে হবে। নিশ সিলেক্ট করার জন্য কিছু বিষয় নজর দিতে হবে যেমন আপনি প্রোডাক্ট সেল করবেন নাকি সার্ভিস? দেশী মার্কেটের পণ্য নাকি মাল্টিন্যাশনাল!
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট
দেশী এবং বিদেশী অনেক সাইট আপনাকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুযোগ দিচ্ছ। বিদেশী সাইটের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় সাইট আলীবাবা, আমাজন। বর্তমানে এই সাইট গুলো বাংলাদেশেও ডেলিভারি দেওয়ায় আপনার কাজ আরো বেশি সহজ হবে। এই সাইটগুলোর জনপ্রিয়তা এবং ব্রান্ড ভ্যাল্যু কে কাজে লাগাতে পারলে আপনার লাভের পরিমাণ বাড়তে থাকবে।
দেশী অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম বা সাইটের মধ্যে ইভালি, দারাজ, বিডিশপ ডট কম, সহজ বাই ডট কমের সহজ অ্যাফিলিয়েট সাইটের প্রোডাক্ট নিয়ে করতে পারবেন। এদের মধ্যে বিডিশপ এবং সহজ অ্যাফিলিয়েট সাইট থেকে বেশি পরিমাণ অনলাইনে আয় করতে পারবেন।
অন্যদিকে বহুব্রীহির অনলাইন কোর্স বিক্রি করে কিংবা ডোমেইন হোস্টিং বিক্রি করার জন্য ডায়ানাহোস্ট, হোস্টিং বাংলাদেশ, আইটি নাট হোস্টিং সাইটের সাথে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন।
অ্যাফিলিয়েট প্রোডাক্ট লিঙ্ক কিভাবে পাবেন
যে ধরনের প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করতে চান সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর প্রোডাক্ট সম্পর্কিত সাইট সিলেক্ট করুন যারা অ্যাফিলিয়েট করার সুযোগ দিচ্ছে।
যে সাইটের জন্য কাজ করতে চান, সেই সাইটে প্রবেশ করে আপনাকে একটি অ্যাফিলিয়েট একাউন্ট তৈরি করতে হবে। এরপর তাদের যেসব প্রোডাক্ট আপনি প্রচার করে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারবেন, সেগুলো বাছাই করুন।
এবার প্রোডাক্ট লিঙ্ক আপনার অ্যাফিলিয়েট একাউন্ট এর সাথে কানেক্ট করে আপনার নিজস্ব সতন্ত্র লিঙ্ক জেনারেট করে নিবেন। ব্যাস, আপনার কাজ শেষ।
মার্কেটিং কিভাবে করবেন?
বিভিন্নভাবে মার্কেটিং করতে পারেন। যতো বেশি মানুষের কাছে লিঙ্কটি পৌছাবে ততো বেশি সেল হবে এবং আপনার ইনকাম বৃদ্ধি পাবে। এজন্য অনেকেই গুগল কিংবা অন্যভাবে বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে। আমি আপনাকে কিছু সহজ উপায় বলে দিচ্ছি যার মাধ্যমে নিজেেই কিছু বিজ্ঞাপন তৈরি করতে পারেন।
- ফেসবুকে আপনি অনেক বাই এন্ড সেল গ্রুপ রয়েছে। সেখানে আপনি আপনার লিঙ্ক এবং ছবি শেয়ার করলে ভালো রেসপন্স পাবেন।
- ইউটিউব চ্যানেল থাকলে সেখানে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস নিয়ে ভিডিও তৈরি করে প্রচার করতে পারন।
- বিভিন্ন ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লিখে পাবলিশ করা যায়, এসব সাইটে আপনার প্রোডাক্ট রিভিউ লিখে পাবলিশ করতে পারেন, সেই সাথে অবশ্যই লিঙ্ক দিয়ে দিবেন।
- একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করে সেখানে অ্যাফিলিয়েট পণ্য বিক্রি করতে পারেন।
উপরের প্রথম তিনটি প্রসেস আপনাকে লাইফটাইম লিড জেনারেট করবে এবং আপনার একাউন্টে প্রতিটি সেলের জন্য কমিশন যুক্ত হতে থাকবে
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কি পরিমান আয় হবে?
আর্টিকেল লিখে মোবাইল দিয়ে আয় করে বিকাশে টাকা নিন
আর্টিকেল লিখে আয় আমাদের বহু পুরাতন প্রসেস। পূর্বে আমাদের গুরুজনেরা এবং বিখ্যাত লেখকগণ পত্রিকায় লেখা পাঠিয়ে টাকা আয় করতেন। যুগের সাথে সাথে আমাদের সংবাদ মাধ্যমে পরিবর্তন এসেছে। আমাদের মিডিয়া প্রতিদিনই বড় হচ্ছে। সংবাদ, তথ্য কিংবা নলেজ এখন আর শুধু পত্রিকায় সীমাবদ্ধ নেই।
অনলাইনে এখন লাখ লাখ ওয়েবসাইট, ব্লগ রয়েছে যাদের কারণে আমরা প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে পারছি। তাই এখন আর্টিকেল লিখে আয় করাটা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটের অন্যতম জনপ্রিয় ক্যাটাগরি। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট সাইটগুলোতে গেলেই দেখবেন প্রতিদিন কনটেন্টকে কেন্দ্র করে হাজার হাজার ডলার লেনদেন হচ্ছে।
আমাদের অনলাইনে সব জায়গায় কনন্টে প্রয়োজন। আপনি যে লেখাটি এখন পড়ছেন সেটিও একটি কনটেন্ট, এই কনটেন্ট না থাকলে কি আপনি পড়তে পারতেন! একটি ইউটিউব ভিডিও বানাবেন! কনটেন্ট প্রয়োজন। একটি অডিও ফাইল বা পডকাস্ট তৈরি করবেন সেখানেও কনটেন্ট ছাড়া সম্ভব নয়।
একটি ব্লগ সাইটকে আপডেটেড রাখতে প্রতিনিয়ত আর্টিকেল পাবলিশ করতে হয়। একজন মানুষের জন্য প্রতিনিয়ত আর্টিকেল আইডিয়া জেনারেট করা কিংবা লেখার জন্য সময় বের করা বেশ কঠিন। ঠিক এই জায়গা থেকেই লেখকদের জন্য চাহিদা তৈরি হয়।
এখন আপনি আমাকে বলুন, মোবাইলে কি লেখা সম্ভব নয়? গুগল ডক, মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, নোটপ্যাড অ্যাপসগুলো দিয়ে তাহলে কি কাজ? তাহলে বলুন, মোবাইল দিয়ে অনলাইনে আয় করা (mobile income in bangladesh) সম্ভব না!!
যেসব সাইটে আর্টিকেল লিখে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করতে পারবেন
আপনার ইংরেজি দক্ষতা যদি ভালো হয় তবে মাশা’আল্লাহ আপনি বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং সাইটে যেমন ফ্রিল্যান্সার, ফাইভার, মাইক্রোওয়ার্কারস, আপওয়ার্কে কনটেন্ট রাইটার হিসেবে কাজ করে হাজার হাজার ডলার আয় করতে পারবেন।
সেই সাথে বর্তমানে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সিং সাইট গুলোতেও কাজের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া যেমন, ফেসবুকে বিভিন্ন আর্টিকেল রাইটং গ্রুপ রয়েছে, যেখানে প্রতি হাজার শব্দ লেখার জন্য ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা বা তার বেশি মোবাইল দিয়ে আয় করে বিকাশে টাকা নিতে পারবেন।
যদি বাংলায় লিখতে চান সেক্ষেত্রেও চিন্তা নেই, আমাদের দেশে এমন অনেক সাইট রয়েছে যেখানে আর্টিকেল পাবলিশ করে মোবাইলে টাকা আয় করতে পারবেন। তবে আয়ের পরিমাণ বেশ কম। কারণ আপনি নিজেও বাংলায় সার্চ কম করেন, তাই বাংলা কনটেন্ট ভ্যালু বিজ্ঞাপন সংস্থাগুলোর কাছে খুবই কম।
ব্লগে আর্টিকেল লিখে মোবাইল দিয়ে অনলাইনে আয় করার জন্য বাংলায় কিছু জনপ্রিয় সাইটের মাঝে রয়েছে:
- টেকটিউন
- হৈচৈ বাংলা
- গ্রাথোর
- বাংলা ভাইভ
- ইনকাম টিউনস
- অর্ডিনারি আইটি
- জেআইটি
- প্রতিবর্তন,
- অসামান্য ইত্যাদি।
বাংলায় কনটেন্ট লিখে আয় করার বিশ্বস্ত সাইটগুলো নিয়ে আমরা একটি আর্টিকেল পাবলিশ করেছিলাম যেখান থেকে আপনি আরো বিস্তারিত জানতে পারবেন।
ফটো বিক্রি করে মোবাইল দিয়ে টাকা আয়
আপনার ছবি কেন বিক্রি হবে?
উপরের আলোচনায় আমরা জেনেছি ওয়েবসাইট এবং ব্লগের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। সেইসাথে ইন্ডাস্ট্রিও বাড়ছে। অলরেডি অনেক প্রতিষ্ঠান এবং হাজার হাজার ওয়েবসাইট রয়েছে ইন্টারনেট দুনিয়ায়। এদের প্রত্যেকের বিভিন্ন কাজে কপিরাইটমুক্ত ছবির প্রয়োজন হয়।
প্রোডাক্ট প্যাকেজিং, বিজ্ঞাপনের কাজের জন্য একটি প্রতিষ্ঠানের নিয়মিত স্টক ফটো প্রয়োজন হয়। আপনি যে আর্টিকেলটি পড়ছেন এখানেও কয়েকটি ছবি দেখতে পাচ্ছেন যেগুলো পুরোপুরি কপিরাইট মুক্ত স্টক ফটো। অনলাইন ওয়েবসাইটগুলোতে কপিরাইটযুক্ত ছবি থাকলে গুগল সাইটকে র্যাঙ্ক করতে দেয়না।
কপিরাইট নিয়ে যদিও আমরা খুব বেশি গুরুত্ব দেই না, কিন্তু কপিরাইট রুলস ওয়ার্ল্ড ওয়াইড কঠিনভাবে মানা হয়। এজন্য আমাদের সবারই কপিরাইটমুক্ত ছবির প্রয়োজন হয়। তাই স্টক ফটোর চাহিদাও প্রচুর।
মোবাইলে তোলা ছবি কোথায় বিক্রি করে ইনকাম করবেন?
আপনি গুগল এ গিয়ে যদি ছবি বিক্রির সাইট লিখে সার্চ দেন, তাহলে অনেক সাইট পেয়ে যাবেন। আমার পছন্দের কথা বলতে বললে আমি প্রথমেই Shutterstock ‘র কথা বলবো। এছাড়াও
- FOAP,
- istockphoto,
- gettyimages সবগুলোই ভাল সাইট।
ছবি বিক্রি করে আয় করার আরো অনেক দূর্দান্ত সাইট রয়েছে, যা সম্পর্কে ইতিমধ্যে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
মোবাইলে তোলা ছবি কি বিক্রি হবে?
আমাদের স্টক ফটো দরকার, ১০ মেগাবাইটের ক্যামেরা ফটো লাগবে তা কি বলেছি! দেখুন এই আর্টিকেলটিতে ব্যবহৃত ছবিগুলোর গড় সাইজ ৫০ কেবি এবং সেটাকেও কম্প্রেস করে কমিয়ে আপলোড করা হয়।
তাছাড়া এখন মোবাইলের ক্যামেরা কোয়ালিটি ফটোগ্রাফি করার জন্য যথেষ্ট ভালো। সুতরাং মোবাইলে তোলা ছবি বিক্রি হবেনা এই ধারণাটা সম্পূর্ণ ভুল।
ব্লগিং
উপরের ৩টি উপায়ের সবগুলোতেই কোন না কোনভাবে আপনাকে অন্যের কোম্পানীতে কর্মীর মতো কাজ করতে হবে। কিন্তু এই ব্লগিং জিনিসটা আপনাকে ১০০% স্বাধীন মুক্তপেশার স্বাদ দিতে পারে।
ব্লগ ও ব্লগিং কী? সহজ কথায় ব্লগ হলো এমন একটি পেজ বা সাইট যেখানে প্রতিনিয়ত কোন নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর বিভিন্ন আর্টিকেল লিখে অনলাইনে পাবলিশ করা হয়। এবং অনলাইনে কোন সাইটের মাধ্যমে কনটেন্ট পাবলিশ করার এই প্রক্রিয়াকে ব্লগিং বলা হয়।
একজন ব্লগার মাসে চাইলে কয়েক হাজার ডলার আয় করতে পারে। কিন্তু এজন্য আপনার একটি ভাল মানের ব্লগ সাইট থাকতে হবে। আপনি যদি নিজস্ব স্বাধীনভাবে আয় করতে চান, তবে ব্লগিং সবচেয়ে ভাল উপায়।
মোবাইল অ্যাপস থাকায় ব্লগিং করেতে আপনাকে খুব একটা বেগ পেতে হবেনা। একটি ব্লগ সাইট থেকে বিভিন্নভাবে ইনকাম জেনারেট করা সম্ভব যেমন-
- বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আয় করতে পারবেন
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করা যাবে
- অনলাইন সার্ভিস দিয়ে
- প্রোডাক্ট বিক্রি করে
- অনলাইনে কোর্স সেল করে ইত্যাদি।
তবে এই উপায়টা যারা ভাল আর্টিকেল লিখতে পারেন, তাদের জন্য। শুধুমাত্র আর্টিকেল লিখতে পারলেও হবেনা সফল ব্লগার হওয়ার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় থাকা জরুরী, নইলে মাঝপথে ছেড়ে দিবেন না এমন সম্ভাবনা কম। সুতরাং ব্লগ শুরু করার আগে যা জানতে হবে সেগুলো জেনে তারপর সিদ্ধান্ত নিন।
পডকাস্টিং
প্রযুক্তির এই যুগে আমরা সবাই ব্যস্ত। আমরা সবাই চাই মাল্টিটাস্কিং হতে। টিভি দেখতে দেখতে কি কম্পিউটারে টাইপিং করা সম্ভব?
নিশ্চয়ই না, কিন্তু গান শুনতে শুনতে অবশ্যই সম্ভব। এই সুবিধার জন্যই পডকাস্ট ও পডকাস্টিং এর জনপ্রিয়তার বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পডকাস্টিং কি? কিভাবে পডকাস্ট বানিয়ে আয় করা যায়
পডকাস্ট হলো সাধারণ একটি অডিও ফাইল। বিভিন্ন বিষয়ে অডিও ফাইল তৈরি করে সেটা কোন প্লাটফরমে রাখাকেই পডকাস্টিং বলে এবং অডিও ফাইলটিকে বলা হয় পডকাস্ট।
পডকাস্টিং করে বিভিন্নভাবে আয় করা যায় যেমন –
- ডাউনলোড/ওপেনিং এর উপর পেমেন্ট
- পেইড সাবস্ক্রিপশন
- বিজ্ঞাপন
- স্পন্সরশীপ ইত্যাদি।
পডকাস্ট ( podcast ) মোবাইলের মাধ্যমেই তৈরি করা সম্ভব এবং মোবাইল সফটওয়্যার দিয়ে প্রয়োজনীয় ইডিটিংও করতে পারবেন।
পডকাস্টিং আমাদের অনেকের কাছেই একটি সম্পূর্ণ নতুন বিষয়। তাই এখানে সংক্ষেপে বললেও পরিষ্কারভাবে বুঝতে কষ্ট হবে। পডকাস্টিং নিয়ে একটি বিস্তারিত আর্টিকেল লেখা আছে, সেটি পড়ে নিলে ভালভাবে বুঝতে পারবেন।
YouTube থেকে মোবাইল দিয়ে টাকা আয়
আপনি এবার আমাকে হয়তো গালি দিচ্ছেন, ভাই এটা কেমনে করবো! মোবাইল দিয়ে ইউটিউবিং করা কি সম্ভব। যি, আমি আপনাকে শুট করতে বলিনি। এখন ইউটিউবে অনেকে বিভিন্ন অডিওবুক পাবলিশ করেও টাকা আয় করছেন। আপনি কেন পারবেননা!
অডিওবুক বানাতে আপনাকে ভিডিও ধারণ করতে হবেনা, শুধু অডিও ফাইলের সাথে কিছু ছবি যুক্ত করেই ভাল ভিডিও বানাবো সম্ভব। আপনার গলায় জোর থাকলে আপনার সাবস্ক্রাইবার দ্রুতই বেড়ে যাবে।
শুধু কি অডিওবুক, এখন মোবাইল দিয়ে ঘরের মাঝেই বিভিন্ন ছোট ছোট ভিডিও বানিয়ে ইউটিউবে রাখতে পারেন। খোঁজ নিলে দেখতে পারবেন, অনেক সফল ইউটিউবার শুধুমাত্র একটি মোবাইল দিয়েই শুরু করেছিলেন। তাছাড়া, এখন মোবাইলের ক্যামেরা যথেষ্ট ভাল কোয়ালিটির, হাহ!
একটি ইউটিউব চ্যানেল কিন্তু শুধু বিজ্ঞাপন থেকেই আয় করেনা। ব্লগের মতো এখানেও বিভিন্ন উপায়ে আয় করা সম্ভব।
উপরে আমরা যে কাজগুলোর কথা বলেছি সবগুলোকে ইউটিউব এবং ব্লগিং এর পাশাপাশি করলে আরো লাভবান হতে পারবেন। কারণ ইউটিউব ব্লগকে আপনি সব কাজে লাগাতে পারবেন, নিজেকে একজন দক্ষ ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে গড়ে তুলতে পারবেন।
মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করুন বিকাশে
বাংলাদেশে মোবাইল অ্যাপস (Apps) থেকে আয়ের সুযোগ খুবই কম। যারা উপরের কাজগুলো থেকে আয় করার আত্মবিশ্বাস পাচ্ছেন না তাদের জন্য রয়েছে বিভিন্ন মোবাইল অ্যাপস। তবে সবগুলো ট্রাস্টেড এবং হালাল নয়। তবে বিকাশ অ্যাপে রেফার করে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করতে পারেন।
বিকাশ বাংলাদেশের জনপ্রিয় মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেম। তবে এর বিভিন্ন সেবার বাইরে এটি একটি মোবাইল দিয়ে টাকা আয় বিকাশে পেমেন্ট নেওয়ার app.
বিকাশে নতুন গ্রাহককে রেফার করে নিয়ে আসলে ৫০ থেকে ১০০ টাকা এবং কোনো কোনো সময় ১৫ টাকা পর্যন্ত দিয়ে থাকে।
মোবাইল দিয়ে আয় করার উপায় বিষয়ে শেষ কথা
কম্পিউটার দিয়ে বলেন আর মোবাইলে দিয়ে টাকা আয় করার কথাই বলেন, কোনোটাই কঠিন নয়। কঠিন কাজ হলো ধৈর্য্য ধরে রাখা।
অনলাইনে কাজ করতে হলে আপনার কাজের প্রতি একাগ্রতা ধরে রাখতে হবে। আপনি যদি কাজের প্রতি মনোযোগ ধরে রাখতে পারেন. তাহলে এক মাসের মধ্যেই আপনি মোবাইল দিয়ে আয় করে বিকাশে টাকা নিতে পারবেন ইনশাআল্লাহ্।
তাই মনোযোগ ধরে রেখে কাজ করে যান, অনলাইনে ইনকাম করে সফল হোন।
This is so much helpful for me . Thank you so much .
Glad to know it’s helpful. Thank u
Very essential blog
Glad to know, Thank you
Very good and helpful content. Thank you
Glad to know it’s helpful for you. you are always welcome back to pratiborton.