কার্যকরভাবে বাজেট ট্র্যাক, পরিকল্পনা এবং পরিচলনার জন্য উপায় খুঁজছেন? প্লে-স্টোর এবং অ্যাপ-স্টোরে বিভিন্ন ফিন্যান্স অ্যাপস এর সুবিধা নিতে পারেন। কাগজ-কলমে হিসাব রাখা এবং পরিকল্পনা করা অনেক জটিল হতে পারে। বিকল্প হিসেবে বাজেট ট্র্যাকিং এবং পরিচালনার জন্য বেশ কিছু ভালো ফিন্যান্স অ্যাপস রয়েছে। নিচে উল্লেখিত অ্যাপসগুলো আর্থিক প্রয়োজনে আপনাকে সহায়তা করতে বড় ধরনের ভূমিকা রাখতে পারবে আশা করি।
একনজরে সম্পূর্ণ আর্টিকেল
বাজেট পরিকল্পনার জন্য সেরা ৩টি ফিন্যান্স অ্যাপস
আপনার জন্য সেরা ফিন্যান্স অ্যাপস কোনটি, কিভাবে বেছে নিবেন? যখন একটি ফাইন্যান্স অ্যাপস বেছে নিবেন, তখন কিছু মৌলিক বৈশিষ্ট্য দেখে নেওয়া জরুরী, এগুলো আপনার অ্যাপস ব্যবহার সহজ করে তুলবে। যদি বৈশিষ্ট্য বা সুবিধাগুলো না থাকে তবে অ্যাপস ব্যবহার জটিল হয়ে উঠবে এবং আপনার কাজ করতে অসুবিধা হবে।
ইন্টারফেস:
যেকোন অ্যাপস ব্যাবহারে নেভিগেশন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটি ফাইন্যান্স অ্যাপসের জন্যও সত্য। ফাইন্যান্স অ্যাপস নিয়মিত ব্যবহার করতে হয়, তাই নেভিগেট করার জন্য ইন্টারফেসটি সহজ হওয়া প্র্রয়োজন।
অভ্যাস তৈরি:
ফাইন্যান্স অ্যাপস আমাদের স্বভাবতই বিনোদন দেয়না। অনেকেই কিছুদিন পর অ্যাপসটি ব্যবহার করতে ভুলে যান। অ্যাপসটি নিয়মিত ব্যবহারের অভ্যাস গড়ে তুলতে পুশ-নোটিফিকেশনের মতো বিষয়গুলো জরুরী।
ব্যাংক একাউন্ট:
ফিন্যান্স অ্যাপসে ব্যাংক একাউন্ট যোগ করার সুবিধা অত্যন্ত জরুরী। ব্যাংক একাউন্ট যোগ করার পাশাপাশি লেনদেন সুবিধাজনক হতে হবে।
১) Best Finance App Overall – Mint
আপনি যদি একটি সামগ্রীক ফিন্যান্স অ্যাপসের কথা চিন্তা করেন তবে সর্বপ্রথম মাথায় আসে মিন্ট অ্যাপসের কথা। এর অসাধারণ বৈশিষ্ট্যর কারণে বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফিন্যান্স অ্যাপসগুলোর মধ্যে একটি মিন্ট অ্যাপস।
সফটওয়্যারটিতে ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড সংযুক্ত করা যায় এবং ব্যাংক একাউন্টের লেনদেনের তালিকা সংরক্ষিত রাখে, এবং আপনি কোথায় কি পরিমাণ টাকা খরচ করেছেন তাও সংরক্ষণ করে। এছাড়াও অ্যাপটিতে বাজেট তৈরির সুবিধা এবং বিনিয়োগ ট্র্যাক করার সুবিধা রয়েছে।
২) Best Finance App for Budgeting Overall – EveryDollar
অ্যাপসটির একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, আপনার বাজেটের প্রতিটি ডলারের গুরুত্ব দিয়ে পর্যবেক্ষণ করে। অ্যাপসটিতে ব্যাংক একাউন্ট যুক্ত করে আপনার একাউন্টের প্রতিটি টাকার হিসাব রাখতে পারেন। একাউন্টের সাথে একাধিক বাজেট সেট করা যায় এবং কোন সেক্টরে কত টাকা ব্যায় হলো তা ট্রাক করতে পারবেন।
একটি বিশেষ সুবিধা হলো, অ্যাপসটিতে অভিজ্ঞ অর্থ উপদেষ্টাদের সাথে সরাসরি কথা বলে পরামর্শ নেওয়া যায়।
৩) Best Wealth Management App – Personal Capital
ফিন্যান্স অ্যাপসের মধ্যে আরো একটি জনপ্রিয় অ্যাপস পার্সোনাল ক্যাপিটাল। অ্যাপটিতে সম্পদ, বিনিয়োগ এবং বাজেট নিয়ে কাজ করা যায়, তাছাড়া ব্যাক্তিগত ফিন্যান্স অ্যাপস হিসেবেও কাজ করতে পারে। প্রতিদিনের ব্যায়ের ক্ষেত্রগুলোতে বাজেট ঠিক করে দিতে পারবেন।
ব্যাংক একাউন্টের সাথে সরাসরি লিঙ্ক করা যায়, ব্যাংক একাউন্টযোগ করার মাধ্যমে আপনার প্রতিটি টাকা আয়-ব্যায়ের হিসাব রাখতে পারবেন।
কোথায় হিডেন চার্জ দিতে হচ্ছে, কোথায় আপনার সম্পদের ঝুঁকি রয়েছে এবং কিভাবে আপনার খরচ কমতে পারে অ্যাপসটি সেই সুযোগও দেখিয়ে দিতে পারে।
বাজেট নির্ধারণ বা সম্পদ বৃদ্ধির টার্গেট পূরণে আপনি সঠিক পথে আছেন কিনা, সেই রিপোর্ট অ্যাপস থেকে পেতে পারেন। তাছাড়াও আপনার বর্তমান অবস্থার সাথে বাজারের অবস্থার তুলনা করার সুবিধাও রয়েছে।
পার্সোনাল ক্যাপিটালেও অর্থনীতি বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করার সুযোগ রয়েছে।
শেষ কথা:
আপনার আর্থিক লক্ষ্য অর্জনে অনেকগুলো ফিন্যান্স অ্যাপস রয়েছে। প্রতিটি ফাইন্যান্স অ্যাপস এর নিজস্ব কিছু আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। উপরের তালিকার অ্যাপসগুলোর সুবিধা হলো আপনি একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ফ্রি ট্রায়াল দিতে পারবেন।